আমরা ভয় পাই না, লড়াই করি...
বিধায়কদের নিয়ে হেমন্ত সোরেন। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের নামে কয়লা খনি (Coal Mine) লিজ দিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন খোদ ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বিজেপির (BJP) তরফে এই অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। বিপদ আঁচ করে এবার জোট সরকারের বিধায়কদের নিয়ে ঝাড়খণ্ডের লাট্রাটু বাঁধ (Latratu Dam) এলাকার একটি অতিথিশালায় আশ্রয় নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ৮১। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দখলে রয়েছে ৩০টি আসন। কংগ্রেসের দখলে ১৮টি। আর আরজেডির হাতে রয়েছে একটি আসন। কংগ্রেস এবং আরজেডিকে নিয়ে জোট গড়ে সরকার চালাচ্ছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। এদিকে, ওই বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ২৬।
মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজ হতে পারে আশঙ্কা করে শনিবার বিকেলে বৈঠকে বসেন জোট সরকারের বিধায়করা। তার পরেই তিনটি বাসে করে লাট্রাটু বাঁধের দিকে রওনা দেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সেখানকার একটি অতিথিশালায় আশ্রয় নিয়েছেন বিধায়করা। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জেরে মাছি গলারও জো নেই সেখানে। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, জোট সরকারের বিধায়কদের পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ছত্তিশগড় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এজন্য ছত্তিশগড়ের বারমুডা ও রায়পুর এবং বাংলার কয়েকটি জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ
এক ট্যুইট বার্তায় এদিন কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি লিখেছেন, কেন্দ্র কতটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করতে পারে, তাতে কিছু যায় আসে না। আমি উপজাতি সন্তান। আমি ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র। আমরা ভয় পাই না, লড়াই করি। হেমন্ত বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাদের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে আমাদের বিরোধীরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবহার করছে।আমাদের সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে তারা ইডি, সিবিআই, লোকপাল এবং আয়কর দফতরকে ব্যবহার করছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন নই। বিরোধীরা নয়, আমাদের ক্ষমতায় এনেছে জনগণ।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে চাইছিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে গিয়েছিলেন প্রথম গুজরাট ও পরে বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকার একটি নামকরা হোটেলে ছিলেন তাঁরা। এবার সরকার বাঁচাতে জোট সরকারের বিধায়কদের নিয়ে রিসর্টে আশ্রয় নিলেন হেমন্ত সোরেন।
রিসর্ট সংস্কৃতি এসেছে ফিরিয়া!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।