আগে ছিল সংস্কৃত স্কুল! রাজস্থানে আজমেরে ‘আড়াই দিন কা ঝোঁপরা’ মসজিদ পরিদর্শন করলেন জৈন সাধুরা
‘আড়াই দিন কা ঝোঁপরা’ পরিদর্শনে জৈন সাধুরা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার জৈন সম্প্রদায়ের একটি দল মুনি সুনীল সাগরের নেতৃত্বে দ্বাদশ শতকের মসজিদ ‘আড়াই দিন কা ঝোঁপরা’ (Adhai Din Ka Jhonpra) পরিদর্শন করেন। রাজস্থানের আজমের জেলাতে অবস্থিত রয়েছে এই মসজিদ। জানা যায়, এই মসজিদ আগে ছিল একটি সংস্কৃত স্কুল। মুসলিম শাসনের তা ভেঙে মসজিদের রূপান্তরিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, মসজিদের আশেপাশে থাকা স্থানীয়রা দাবি করেন, ওই সন্ন্যাসীরা কোনও রকমের পোশাক না পরে ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু এরপরেই সন্ন্যাসীরা দাবি করেন, যে এটা হল তাঁদের অধিকার। জৈন সম্প্রদায়ের এই মসজিদ পরিদর্শনের সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মকর্তারাও। তবে এই মসজিদ পরিদর্শনের (Adhai Din Ka Jhonpra) সময় সেখানকার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে তাঁরা প্রবেশ করেননি।
সন্তদের দলের নেতা মুনি সুনীল সাগর সেখানে একটি পাথরের উপরে উঠে দশ মিনিট বক্তব্য রাখেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘এই ধাঁচা (Adhai Din Ka Jhonpra) তাদের আসল মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। প্রার্থনা করা যদি আমাদের চিরাচরিত প্রথা হয়, তবে তাই এখানে করা উচিত। আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। আমরা সত্যটাকে স্বীকার না করে অন্যের সম্পত্তির ওপর দখল দিই, তখন তা শত্রুতা বৃদ্ধি করে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সম্প্রীতির জন্য কাজ করতে হবে।’’
জানা যায়, এই সংস্কৃত কলেজটির নাম ছিল সরস্বতী কন্ঠভরণ মহাবিদ্যালয় (Adhai Din Ka Jhonpra)। এই মন্দিরটি উৎসর্গ করা হয়েছিল মাতা সরস্বতীকে। এই কলেজটি তৈরি করেছিলেন মহারাজা চতুর্থ বিগ্রহরাজ। তিনি ছিলেন চৌহান বংশের রাজা। জানা যায়, মূল ভবনটি ছিল বর্গাকার আকৃতির। তার প্রতিটি কোণে একটি করে টাওয়ার ছিল এবং এই ভবনের পশ্চিম পাশে মাতা সরস্বতীর মন্দির ছিল। পরবর্তীকালে দাদ্বশ শতকে এই স্থাপত্য ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।