Supreme Court: আরজি করের নিরাপত্তায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী! চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আর্জি শীর্ষ আদালতের...
আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা দায়িত্বে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্বাধীনতার দিন রাতেই ভাঙচুর হাসপাতালে, পরপর এ ধরনের ঘটনা কী করে সম্ভব! আরজি কর নিয়ে বিস্মিত শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। আরজি কর নিয়ে মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে একাধিক বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয় দেশের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর (RG Kar Incident) মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আমরা আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।’’ চিকিৎসকেরা যাতে আবার কাজে ফিরতে পারেন, তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানায় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এদিন নির্দেশ দেয়, হাসপাতাল এবং হস্টেলে নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফ বা সিআইএসএফের মতো আধা সামরিক বাহিনীকে নিতে হবে। এত দিন আরজি করে নিরাপত্তা দিচ্ছিল পুলিশ, এবার আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল আরজি কর (RG Kar Incident)। বিক্ষোভ চলছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলনকারীরা যেমন ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচারের দাবি তুলছেন, তেমনই নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের কথাও বলছেন। মঙ্গলবারের শুনানিতে সেই বিষয়টি উঠে আসে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এদিন পর্যবেক্ষণে জানায়, আমাদের দেশে জুনিয়র ডাক্তাররা নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন, চিকিৎসকদের কোনও ডিউটিরুম নেই। শুধু তাই নয়, ডিউটি রুম, পৃথক রেস্টরুম নেই, টানা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে জানায় শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: এফআইআর করতে দেরি কেন? প্রশ্ন রাজ্যকে, মামলার স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের
এদিন শুনানি চলাকালীন আরজি করের (RG Kar Incident) নিরাপত্তা নিয়ে ১৪ অগাস্টের কথা উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। আরজি করের সামগ্রিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?” স্বাধীনতা দিবসের রাতে কোনও রাজ্যে এই ঘটনা কীভাবে ঘটে তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি, “৫০০ লোকের জমায়েত হলে আমরা বলি ভালো লোক এসেছে। সেখানে সাত হাজার লোক হাসপাতাল ভাঙচুর করল। এটা কি আইনশৃঙ্খলার নমুনা?”
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন প্রশ্ন করেন, মহিলারা নিরাপদে কাজে যেতে না পারলে, সমাজে সবার অধিকার থাকবে কী ভাবে? তাঁর মন্তব্য, “মৃতার নাম ও ছবি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে।” আগামী ২৩ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি (Supreme Court) রয়েছে। দেশ জুড়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা যাতে কাজে ফেরেন, সেই অনুরোধও করেন প্রধান বিচারপতি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।