মূলত নির্বাচনের কাজেই ব্যবহার হয়েছে এই বিপুল অর্থ, অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার
প্রতীকী ছবি ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ছত্তিসগড়ে মদ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে এমনই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বেআইনি মদ ব্যবসার (Illegal Liquor business) ‘কিংপিন’ হলেন ছত্তিসগড়ের (Chattisgarh) এক আইএএস অফিসার। শুধু তাই নয়, বেআইনি মদ ব্যবসার টাকা নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়েছে বলেও অভিযোগ। একাধিক রাজনৈতিক নেতা এর সঙ্গে যুক্ত।
ইডি সূত্রে খবর, ছত্তিসগড়ের (Chattisgarh) অবৈধ মদ ব্যবসায় অভিযুক্ত ‘কিংপিন’ হিসাবে নাম উঠে এসেছে আইএএস অফিসার অনিল তুজেতার। গোটা ঘটনার মূলচক্রী হিসাবে উঠে এসেছে এক কংগ্রেস (Congress) নেতার ভাই আনোয়ার ধেবারের নাম। ইডি-র তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজ্যে মোট মদ বিক্রির প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ হিসাববহির্ভূত অবৈধ মদ হিসাবে বিক্রি হয়েছে। সরকারি তালিকাভুক্ত মদ বিক্রি হলেও তার আয় সরকারি কোষাগারে জমা পড়েনি বলেই ইডির তদন্তে দাবি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এই তিন বছরে। মূলত নির্বাচনের কাজেই ব্যবহার হয়েছে এই বিপুল অর্থ।
আরও পড়ুুন: খেজুরির ৬১ বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের, দিতে হবে নিরাপত্তাও
ইডি জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিক, সাধারণ ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বদের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট দ্বারা ছত্তিসগড়ের (Chattisgarh) মদ ব্যবসার বিশাল দুর্নীতি হয়েছে এবং ২ হাজার কোটির বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ছত্তিসগড়ের এই মদ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার ধেবার রায়পুরের মেয়র তথা কংগ্রেস নেতা আইজাজ ধেবারের দাদা। এই দুর্নীতির অভিযুক্ত ‘কিংপিন’ অনিল তুজেতা ২০০৩ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি, কংগ্রেস নেতার ভাইয়ের সঙ্গে ১৪.৪১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে অভিযুক্ত আইএএস অফিসারের। বর্তমানে তিনি রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের যুগ্ম সচিব। শনিবারই আনোয়ার ধেবারকে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্থ তছরুপ আইনের ধারায় তাঁকে ৪ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।