Jaipur: জয়পুরে মন্দিরের জমি দখলকারীর বিরুদ্ধে ভজনলালের দাওয়াই বুলডোজার...
জয়পুরে অবৈধ নির্মাণে বুলডোজার। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে শারদ পূর্ণিমায় আরএসএস স্বয়ংসেবকদের (RSS) ওপর হামলার অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। মোট ১০ জনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অভিযুক্ত হলেন নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল সরকারের পুলিশ-প্রশাসন। একই ভাবে মন্দিরের জমি অবৈধভাবে দখল করার জন্য অভিযুক্তদের বেআইনি একটি ভবনকে বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জয়পুরে গত ১৭ অক্টোবর লক্ষ্মীপূর্ণিমার দিনেই শারদ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। এই সময় আরএসএসের পক্ষ থেকে কর্নি বিহারের একটি শিব মন্দিরে ফসল কাটার শুভ মুহূর্তে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে মহাপ্রসাদ বিতরণের সঙ্গে হনুমান চাল্লিশা পাঠও চলছিল। ঠিক এমনই আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে মন্দির চত্বরে নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে ভীষম চৌধুরী আচমকা সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করার হুমকি দেন। এরপর তর্কবিতর্ক হতেই প্রায় দশজন স্বয়ংসেবকের উপর আচমকা এলোপাথাড়ি ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালান। ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলে অনেকের পায়ে, বুকে, পিঠে, হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এই হিংসাত্মক আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি আরএসএস-এর। এরপর আহতদের দ্রুত জয়পুর সওয়াই মান সিং হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
একই ভাবে আরএসএস স্বয়ংসেবকরা (RSS) অভিযোগ করে, এলাকায় এবং মন্দিরের বেশ কিছু জমি ওই অভিযুক্তরা জোর করে দখল করে রেখেছে। এরপর জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে মন্দিরের অবৈধ জমি জরিপ করা হয় এবং অভিযুক্ত নসিব চৌধুরী বেআইনি ভাবে জমি দখল করেছে বলে নোটিশ জারি করা হয়। সেই সঙ্গে এই নির্মাণ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু বৈধ নথি না দেখাতে পারায় অবৈধ একটি ভবনকে ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজার দিয়ে। জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের বক্তব্য, “নির্ধারিত সময় দেওয়ার পরও অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কোনও তথ্য দিতে না পারায় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।” উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে প্রতিমা বিসর্জনের সময় এক হিন্দু যুবককে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করলে, মূল অভিযুক্তদের অবৈধ নির্মাণের উপর বুলডোজার চালায় যোগী প্রশাসন। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যোগীর দেখানো পথে এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার পথে অগ্রসর হয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।