এনডিআরএফ, সেনা, স্থানীয়দের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ চালাচ্ছেন সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা
হাসাপাতালে সেবাকাজে সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপর্যয় যেমনই হোক, সেবাকাজে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা (RSS)। বালাসোরে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনাতেও দেখা গেল একই চিত্র। শুক্রবার রাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়দের সঙ্গেই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা। জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজ অতি দ্রুত শুরু করেন তাঁরা। এনডিআরএফ, সেনা, স্থানীয়দের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ চলতে থাকে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলি থেকে আহতদের উদ্ধার, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি, পোশাক বিতরণ, খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কাজ করতে থাকেন সঙ্ঘের কার্যকর্তারা। জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিন রাতেই ৩০০ ইউনিটের বেশি রক্তদান করেন সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা।
শনিবার অবধি ৬০০ ইউনিট রক্তদান সঙ্ঘের
শেষ খবর পাওয়া অবধি শনিবার পর্যন্ত মোট ৬০০ ইউনিট রক্তদান করেছেন সঙ্ঘের কার্যকর্তারা। বালাসোরের এক সঙ্ঘ আধিকারিকের কথায়, ‘‘দুর্ঘটনার রাতে, অ্যাম্বুলেন্স পর্যাপ্ত ছিলনা, আমাদের কার্যকর্তারা অটো, মোটরবাইকে বসিয়ে জখমদের হাসপাতাল নিয়ে যেতে থাকেন। এরমধ্যেই চিকিৎসার কাজে প্রয়োজন হয় রক্তের। সে অভাব পূরণ করতে স্থানীয়দের সঙ্গেই লাইনে দাঁড়িয়ে রক্তদান করতে থাকেন আমাদের স্বয়ংসেবকরা।’’ সাংগঠনিক নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে দুর্গতদের বাড়ির সঙ্গেও যোগাযোগ করানোর কাজ করতে থাকে সঙ্ঘ। দুর্গতদের সাহায্যের জন্য বাহানাগা হাসপাতাল, বালাসোর হাসপাতালের সামনে এখনও চলছে সঙ্ঘের ক্যাম্প। হাসাপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের সঙ্গে প্রতিমুহুর্তে যোগাযোগ রাখছেন স্বয়ংসেবকরা। সেবাকাজে রয়েছে সঙ্ঘের আনুষঙ্গিক সংগঠন এবিভিপি, বজরঙ্গ দল, সেবা ভারতীও।
প্রসঙ্গত, রেল দুর্ঘটনার (Train Accident) পর থেকেই যেন গোটা বালাসোর পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। ১৩০ কিমি বেগে থাকা এই ট্রেনের বগি চলে আসে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ির ট্রাকে। শেষ খবর পাওয়া অবধি, নিহতের সংখ্যা ২৮৮। উদ্বারকারীদের আশঙ্কা এখনও বহু দেহ আটকে রয়েছে কামরার মধ্যে। ড্রোন, স্নিফার ডগ, হেলিকপ্টার সবকিছু নিয়েই চলছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।