‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণ বিশ্বের ইতিহাসে সোনালী অধ্যায়ে লেখা থাকবে,’’ আরএসএস-এর প্রস্তাবে উল্লেখ...
নাগপুরে আরএসএস-র বৈঠক (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগপুরে অনুষ্ঠিত আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠকে 'জাতীয় পুনরুত্থানে রাম মন্দির' প্রস্তাব গৃহীত হল। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণ বিশ্বের ইতিহাসে সোনালী অধ্যায়ে লেখা থাকবে।’’ ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘শত বছরেরও বেশি সময় ধরে হিন্দু সমাজের সংঘর্ষ এবং আত্মত্যাগের ফলে নির্মাণ সম্ভব হয়েছে রাম মন্দিরের।’’
প্রস্তাবে রাম মন্দির আন্দোলনে সমাজের সেই সমস্ত ব্যক্তিকে সম্মান জানানো হয়েছে, যাঁরা রাম মন্দির নির্মাণের আন্দোলনে কোনও না কোনওভাবে যুক্ত ছিলেন (RSS)। যেমন, আইন বিশেষজ্ঞ, সংবাদমাধ্যম, গবেষক প্রভৃতি। এর পাশাপাশি স্মরণ করা হয়েছে আন্দোলন করতে গিয়ে যাঁরা নিজের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন তাঁদেরকেও। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (RSS) তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে যাঁরা এই আন্দোলন করতে গিয়ে নিজের জীবন আহুতি দিয়েছেন।’’
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে অক্ষত চাল দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় আরএসএস (RSS)। সেই কর্মসূচির সাফল্যও স্থান পেয়েছে প্রস্তাবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘সমগ্র সমাজ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন রাম মন্দিরের অক্ষত চাল বিতরণের অনুষ্ঠানে। লক্ষ লক্ষ রামভক্ত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি পরিবারের সঙ্গে গ্রাম এবং শহর মিলিয়ে।’’
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘২২ জানুয়ারি ভারতবর্ষ এবং দেশের বাইরেও প্রতিটি প্রান্তে দীপোৎসব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গৈরিক ধ্বজ প্রত্যেক বাড়িতে উড়েছে। মন্দির এবং ধর্মস্থান গুলিতেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।’’ প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে অযোধ্যা সাক্ষী থেকেছে বিশ্বের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতাদের অংশগ্রহণে। এর পাশাপাশি সমাজের অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রের এবং অন্য বিশ্বাসের মানুষরাও সেদিন এসেছেন অযোধ্যায়।’’
‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণ সমাজে একটি সম্প্রীতির পরিবেশ নির্মাণ করতে পেরেছে।’’-এমনটাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। এর পাশাপাশি রাম মন্দিরের উদ্বোধন জাতীয় জীবনকে সংগঠিত করতে পেরেছে বলেও মত রাখা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। শ্রী রামচন্দ্রের মূল্যবোধের উপর নির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন ভারতবর্ষের জাতীয় পুনরুত্থানের সূচনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। পাশাপাশি প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণের মাধ্যমে সমাজ বিদেশি শাসনের সময়ে যেভাবে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগত সেখান থেকেও বেরিয়ে আসতে পেরেছে।’’
ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘‘ভগবান রামচন্দ্র সকলের কাছে প্রেরণার স্রোত। ভগবান রামচন্দ্রের সুশাসন সারা পৃথিবী জুড়ে খ্যাত। রাম রাজ্যের নীতি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।’’ অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার মতে, ‘‘ভগবান রামের আদর্শ থেকে সকলকে প্রেরণা নেওয়া দরকার। সমাজের মধ্যে ধর্মের মূল্যবোধ জেগে ওঠা দরকার। আত্মত্যাগ, বিচারবোধ, সদিচ্ছা, সততা- এই সমস্ত কিছুই প্রতিফলিত হয় ভগবান শ্রী রামের জীবনে।’’
নাগপুরে অনুষ্ঠিত আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় ফের একবার সরকার্যবাহ পদে নির্বাচিত হলেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে। এর পাশাপাশি তিনি ৬ জন সহ-সরকার্যবাহকে নিয়োগও করেন ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত সাংগঠনিক বর্ষে। ২০২১ সালের প্রতিনিধি সভার বৈঠকে সহ-সরকার্যবাহ ছিলেন ৫ জন। এবারে তা বেড়ে ৬ হল। ৬ জন সহ-সরকার্যবাহ হলেন— কৃষ্ণ গোপাল, সি আর মুকুন্দ, অরুণ কুমার, রাম দত্ত চক্রধর, অতুল লিমায়ে এবং অলোক কুমার। মনমোহন বৈদ্য এর আগে সহ-সরকার্যবাহের দায়িত্বে ছিলেন, প্রতিনিধি সভার বৈঠকে তাঁকে দায়িত্ব মুক্ত করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।