RSS: চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করেই মণিপুরে আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা...
চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করেই মণিপুরে আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা, জানালেন ভাগবত। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আরএসএসের (RSS) স্বেচ্ছাসেবকরা মণিপুরে অবস্থান করছে।” কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মণিপুরের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করেই আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি। শঙ্কর দিনকর কানের (যাঁকে সবাই ভাইয়াজি নামে চেনেন) জন্মশতবর্ষের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ভাগবত। সেখানেই তিনি আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, কানে মণিপুরে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষা প্রসারে কাজ করেছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের মহারাষ্ট্রে নিয়ে আসতেন। তাদের থাকার ব্যবস্থাও করতেন। সরসঙ্ঘচালক বলেন, “মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি কঠিন। নিরাপত্তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। স্থানীয়রা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দিহান। যাঁরা ব্যবসা কিংবা সামাজিক কাজে সেখানে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও সঙ্ঘের (RSS) স্বেচ্ছাসেবকরা সেখানে অবস্থান করছে, উভয়পক্ষের সেবা করছে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে।”
সঙ্ঘ প্রধান বলেন, “এনজিওগুলো সব কিছু সামলাতে পারে না। কিন্তু সঙ্ঘ যা করতে পারে, সেজন্য কোনও প্রচেষ্টাই বাকি রাখছে না। তারা সংঘর্ষে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে। এর ফলে তারা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “এই আস্থার কারণ হল স্থানীয়রা বছরের পর বছর ধরে কেনের মতো মানুষদের কাজ দেখেছেন।” ভাগবত বলেন, “আমরা সবাই ভারতকে একটা দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলি। কেনের মতো মানুষের কাছে এটা তপস্যা।”
আরও পড়ুন: “অনুচ্ছেদ ৩৭০ ইতিহাস, আর কখনও ফিরবে না”, স্পষ্ট করলেন শাহ
মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “পূর্বাঞ্চল প্রায় ১৫ বছর আগে সমস্যার অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল। কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবিও জানিয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। মানুষের মধ্যে স্বধর্ম বোধ বিরাজ করছিল। আমরা যে ভারতবাসী, এই ধারণা আগের তুলনায় শক্তিশালী হচ্ছিল। মণিপুরের মতো রাজ্যে আজ আমরা যে অশান্তির ছবি দেখছি, সেগুলো যারা উন্নয়নের পথে কাঁটা হতে চায়, তার করছে।” তিনি বলেন (RSS), “তবে তাদের পরিকল্পনা সফল হবে না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।