S Jaishankar: ‘এই শিল্পপতি একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে’, সোরসকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কেন জানেন?

নির্বাচন ভাল, যদি তাঁরা যাকে ক্ষমতায় দেখতে চান, তিনি জয়ী হন। কিন্তু ভোটের ফল যদি উল্টো হয়...
jaishankar
jaishankar

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ-আদানি বিতর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিশানা করেছিলেন মার্কিন ধনকুবের শিল্পপতি জর্জ সোরস (George Soros)। শনিবার তাঁকে একহাত নিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সোরস সম্পর্কে তাঁর অভিমত, এই শিল্পপতি একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে, যিনি মনে করেন তাঁদের মতামত অনুযায়ী গোটা দুনিয়া চলবে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই সব মানুষ চান তাঁদের সমর্থিত দল ক্ষমতায় আসুক। উল্টোটা হলেই গণতন্ত্র ত্রুটিযুক্ত বলে চিৎকার করতে থাকেন। জয়শঙ্কর বলেন, মিস্টার সোরস একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে মানুষ। নিউইয়র্কে বসে যিনি ভাবেন তাঁর মতামত মেনেই গোটা বিশ্বের চলা উচিত। তিনি বলেন, এই জাতীয় লোক সম্পদ লগ্নি করেন তাঁদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার জন্য। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, এই সব লোক মনে করেন নির্বাচন ভাল, যদি তাঁরা যাকে ক্ষমতায় দেখতে চান, তিনি জয়ী হন। কিন্তু ভোটের ফল যদি উল্টো হয়, তখন তাঁরা গণতন্ত্রের দোষ ধরতে ব্যস্ত হন। জয়শঙ্কর বলেন, এসবই করা হয় মুক্ত সমাজের দাবির অছিলায়।

জয়শঙ্কর...

বর্তমানে জয়শঙ্কর রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, গত তিন দশকে ভারতে একটা বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনটা হল আমাদের বাণিজ্যের সিংহভাগ হচ্ছে পূর্বমুখী। বর্তমানে ৫০ শতাংশেরও বেশি ব্যবসা হয় ভারতের পূর্ব দিকের দেশগুলির সঙ্গে। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়েও এদিন মুখ খোলেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতের বিদেশনীতিরও বড়সড় পরবর্তন হয়েছে। ভারত সম্পর্কে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাচ্ছে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে স্ট্র্যাটেজিক কনসেপ্ট বদলেছে, নয়া ভূরাজনৈতিক থেরাপি হয়েছে, কোয়াডের মতো নয়া মেকানিজমও হয়েছে।

সোরসকে নিশানা করেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদীদের একটা অংশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ছোট করতে চাইছে, ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ হানতে চাইছে। জর্জ সোরস তাদেরই কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত আগেও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে পরাস্ত করেছে। ভবিষ্যতেও করবে। স্মৃতি বলেন, আমি অনুরোধ করব দেশের সমস্ত মানুষ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলিকে একযোগে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, গর্জে উঠতে।

আরও পড়ুুন: ‘কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি’, সমীক্ষা শেষে বিবৃতি আয়কর দফতরের

প্রসঙ্গত, জার্মানির মিউনিখে এক সিকিউরিটি কনফারেন্সে সোরস বলেছিলেন, মোদি এ বিষয়ে (আদানিকাণ্ডে) এখনও নীরব। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে ও সংসদে তাঁকে জবাব দিতেই হবে। তিনি বলেন, এই ঘটনা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মোদির রাশকে দুর্বল করবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দরজা খুলে দেবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles