এস-৪০০-কে একটি গেম চেঞ্জার বলে মনে করা হচ্ছে।
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ৫ টি এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার চুক্তি সই করেছিল ভারত। তার তৃতীয় স্কোয়াড্রন দ্রুত ভারতে আসতে চলেছে। এটি প্রায় প্রস্তুত বলে জানালেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপোভ। এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম রাশিয়ার সবথেকে আধুনিক শক্তিশালী দূরপাল্লার মিসাইল সিস্টেম হিসেবে পরিচিত।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ভারতকে (india) এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের তৃতীয় স্কোয়াড্রন সরবরাহ করবে রাশিয়া। প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন আগেই ভারতে এসেছে। সেগুলি যথাক্রমে উত্তর ও পূর্ব সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্টে আঘাত হানতে পারবে এই মিসাইল। ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে উড়ে যাওয়া মানুষবিহীন আকাশযানের উপরও আঘাত হানতে সক্ষম এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া থেকে আনায়, ভারতের ওপর না খুশি ছিল আমেরিকা। তবে তা পরে মেনে নেয় মার্কিন কংগ্রেস। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে কোনও কিছুর সঙ্গেই আপোস করতে রাজি ছিল না ভারত।
আরও পড়ুন: 'বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরুন', বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, ভারত এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করে। এস-৪০০-কে একটি গেম চেঞ্জার বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে চিন অন্যদিকে, পাকিস্তানকে রুখতে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা অনেকটাই সহায়ক হবে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মত। চিন এবং ভারত উভয়েই তাদের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর মোতায়েন করেছে। তবে চিনের তুলনায় ভারতীয় সিস্টেমের ক্ষমতা অনেকটাই বেশি বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে লালফৌজের অনুপ্রবেশের তৎপরতা ভেস্তে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বছরে এস-৪০০ এর তৃতীয় স্কোয়াড্রন আসার খবর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।