Devotees: আয়াপ্পান দর্শনকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা, তীর্থযাত্রা শুরু শবরীমালা মন্দিরে
শবরীমালা মন্দিরে ভক্তদের সমাগম। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয় দিনে ছয় লাখের বেশি ভক্ত শবরীমালা (Sabarimala Temple) দর্শন করেছেন। মন্দিরের রাজস্ব ছুঁয়েছে ৪১ কোটি টাকা। দেশব্যাপী দর্শনার্থীদের (Devotees) জন্য ভান্দিপেরিয়ার সাথরাম, ইরুমেলি এবং পাম্বাতে তিনটি স্পট অনলাইন বুকিং কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুণ্যার্থীদের মধ্যে আয়াপ্পান দর্শনকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। উল্লেখ্য কেরলের এই মন্দিরের দেবতা হলেন কুমার কার্তিক ঠাকুর। তাঁকে ঘিরে ২ মাস ধরে চলে মণ্ডলম-মাকারাভিলাক্কু তীর্থযাত্রা। এই সময়ে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় মন্দির-চত্বরে।
ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি) সভাপতি (Sabarimala Temple) পিএস প্রশান্ত বলেন, “মন্দিরের দরজা ১৬ নভেম্বর (বৃশ্চিকম ১) খোলা হয়েছিল, বর্তমান সময়ের মধ্যে ৬,১২,২৯০ জন তীর্থযাত্রী মন্দির দর্শন করেছেন। গত বছরের একই সময়সীমায় আগত ভক্তের (Devotees) সংখ্যা ছিল ৩০৩৫০১ জন। ফলে এই বছর ভক্তদের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সংগৃহীত রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১.৬৪ কোটি টাকায়, যা গতবারের তুলনায় ১৩.৩৩ কোটি বেশি। তবে সবটাই হয়েছে আগত দর্শনার্থীদের নানা সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবার ব্যবস্থা করার ফলে। ভক্তদের ক্রমবর্ধমান চাপ সামলানোর জন্য পাম্বার মনাপুরাম অনলাইন বুকিং কেন্দ্রে নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
মন্দির (Sabarimala Temple) কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, এমন আর এমন কোনও পরিস্থিতি নেই যাতে আগত দর্শনার্থীদের মন্দির দর্শন না করেই ফিরে যেতে হবে। অনলাইন বুকিং বিশেষ ভাবে কার্যকর হয়েছে। তবে যাঁরা অনলাইনে বুকিং করে আসবেন, তাঁদের স্পট বুকিংয়ের জন্য আধার কার্ডের নকল কপি রাখতে হবে। সকল দর্শনার্থীদের প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য বর্জনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পিএস প্রশান্ত আরও বলেন, “মন্দিরের পাশে অবস্থিত পাম্বা নদীতে কাপড় ফেলে যাওয়ার সঙ্গে পুজোর রীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তা নদীকে অনেকটাই দূষিত করে। তাই ভক্তদের (Devotees) অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ করতে হবে।” মন্দিরের ট্রাস্টের সঙ্গে আরও ২০টি সরকারি বিভাগের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মন্দির দর্শনে বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।