Hindu Temple: সম্ভলের মসজিদ আদতে হিন্দু মন্দির, বটগাছ, কূপ বড় প্রমাণে আদালতে তথ্য পেশ…
সম্ভলের বিতর্কিত শাহী জামা মসজিদ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের (Sambhal) শাহি জামা মসজিদের ওপর একটি সমীক্ষা রিপোর্ট কোর্ট কমিশনার রমেশ রাঘব একটি সিল করা খামে চান্দৌসি আদালতে জমা দিয়েছেন। এই রিপোর্টে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। হিন্দু মন্দিরের (Hindu Temple) একাধিক চিহ্নকে নির্মূল করতে কাঠামোকে বদলে দিয়েছিল তৎকালীন মুসলমান শাসকরা। একটি মুখ বন্ধ খামে ৪০-৪৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পেশ করেছেন তিনি। ফলে এই প্রতিবেদনে হিন্দু পক্ষের দাবি আরও জোরদার যে হয়েছে তা মনে করছেন অনেকেই।
সূত্রে জানা গিয়েছে, সিনিয়ার ডিভিশনের নিথিটি সিভিল জজ আদিত্য সিংয়ের এজলাসে পেশ হওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মসজিদ কাঠামোর মধ্যে প্রাচীন মন্দিরের (Sambhal) নানা অবশেষ রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, মসজিদের সামনে দুটি বটগাছ আছে যা সাধারণত হিন্দু মন্দিরের (Hindu Temple) সামনে থাকে এবং গাছগুলিকে পুজো করা হত। এবার এই জায়গায় একটি কূপ রয়েছে যার এক অংশ মসজিদ কাঠামোর মধ্যে এবং অপর আরেক অংশ বাইরে রয়েছে। ওই কূপের বাইরের অংশ ঢাকা ছিল। সম্পূর্ণ এলাকায় সাড়ে চার ঘণ্টার একটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। মোট ১২০০টি ছবি তোলা হয়েছিল মসজিদের।
আরও পড়ুনঃ মহাকুম্ভের কয়েক দিন বাকি, প্রয়াগরাজে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
গত ১৯ নভেম্বর জরিপের প্রাথমিক দিনে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিডিওগ্রাফি সম্পন্ন হয়েছিল এবং ২৪ নভেম্বর আরও তিন ঘণ্টার ভিডিওগ্রাফি হয়েছিল। জামা মসজিদের ভেতরে পঞ্চাশটিরও বেশি ফুলের নিদর্শন চিহ্নিত করা হয়েছে। বেশি করে নতুন সংযোজনের পাশাপাশি মূল কাঠামোর পরিবর্তনগুলি চিহ্নিত করা গিয়েছিল। মন্দিরের আসল রূপটির উপর থেকে প্লাস্টার দিয়ে প্রলেপ এবং রং করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ফলে মসজিদটিতে পুরাতন ঐতিহাসিক যুগের মন্দির ও হিন্দু স্থানের প্রতীক চিহ্নগুলি রয়েছে। মন্দিরের মূল স্থাপত্যটির দরজা, জানালা এবং দেয়ালে রূপ পাল্টে মন্দির (Hindu Temple) কাঠামোটিকে (Sambha) ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
কোর্ট কমিশনার রমেশ সিং রাঘব (Sambha) বলেন, “শাহি জামা মসজিদটি মূলত হরিহর মন্দির (Hindu Temple) ছিল বলে দাবি করে একটি পিটিশন ১৯ নভেম্বর সিভিল জজের (সিনিয়র ডিভিশন) এজলাসে দায়ের করা হয়েছিল। একই দিনে মসজিদের জরিপ চালানো হয়। কিন্তু এটিকে সম্পূর্ণ করা যায়নি বলে, কোর্ট কমিশনার ২৪ নভেম্বর পুনরায় মসজিদ পরিদর্শন শুরু করেন এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম), পুলিশ সুপার (এসপি) সকলে উপস্থিত থেকে সমীক্ষা চালান।
তিনি আরও বলেন, “এই সমীক্ষার সময় উগ্র মুসলমানরা হিংসা ছড়ায়। সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে ইট-পাথর এবং অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল। ফলে প্রায় চারজনের মৃত্যুও হয়েছিল। প্রতিবেদনটি প্রাথমিকভাবে ৯ ডিসেম্বর আদালতে পেশ করার কথা ছিল, কিন্তু আদালত (Sambhal) কমিশনার স্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখ করে অতিরিক্ত ১৫ দিন সময় চেয়েছিলেন। আজ, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে সমীক্ষার পরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কট্টর মৌলবাদীরা হিংসার বাতাবরণ এবং এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল।”
তবে এই হিংসার কাজে উসকানি এবং প্ররোচনা দেওয়ার কাজ যারা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে যোগী সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। হিংসার কাজের সঙ্গে যুক্ত এখনও পর্যন্ত মোট ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অশান্তি ছড়ানোর কাজে জড়িত অন্যদের আটক করতে পুলিশের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। হিংসা সম্পর্কিত মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই শাহি জামা মসজিদ (Sambhal) হল মুঘল আমালের একটি মসজিদ। এই মসজিদ কাঠামোটি সম্ভলের গারভি এলাকায় অবস্থিত। এই মসজিদের নিচে ছিল প্রাচীন হরিহর মন্দির। তাকে ধ্বংস করে মীর বাকে ১৫২৯ সালে সম্রাট বাববের নির্দেশে মসজিদ কাঠামো নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দু মন্দিরকে (Hindu Temple) মসজিদ করার জন্য হিন্দু পক্ষ এখন মন্দিরকে পুনরুদ্ধার করার জন্য সবরকম ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, এই এলাকার অপর আরেক জায়গায় অবৈধ বিদ্যুৎ চুরির অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশ মাটির নিচে পুঁতে রাখা শিব এবং হনুমান মন্দির উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনাতেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।