রবিবার দক্ষিণেশ্বর সারদা মঠে রাত ৮টা ১২ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা
প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণার জীবনাবসান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা (Nun Amalaprana Passes Away) মাতাজির জীবনাবসান হয়েছে। রবিবার দক্ষিণেশ্বর সারদা মঠে রাত ৮টা ১২ মিনিট নাগাদ তিনি প্রয়াত হন। দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে প্রায় দু’মাস ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
আজ, সোমবার সকাল সাতটা থেকে অমলপ্রাণা মাতাজির (Prabrajika Amalaprana) নশ্বর দেহ সারদা মঠের স্কুল ভবনে শায়িত। ভক্তরা সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। গত ২২ অক্টোবর বুকে যন্ত্রণা ও শ্বাসকষ্টের জন্য মাতাজিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ ডিসেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। চলছিল ডায়ালিসিসও। সূত্রের খবর, মাতাজির ইচ্ছানুসারে এ দিন সকালে তাঁকে ভেন্টিলেশন সার্পোটে হাসপাতাল থেকে দক্ষিণেশ্বরের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। তাঁর মৃত্যুতে নেমেছে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে তৈরি ৪৮টি ব্রোঞ্জের ঘণ্টা পাঠানো হবে অযোধ্যার রামমন্দিরে
এর পর সন্ধ্যায় জীবনাবসান। ১৯৩১ সালে মহীশূরে জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা। মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। জ্যোতিশ্বরানন্দের কাছে দীক্ষা নেন অমলপ্রাণা মাতাজি। ১৯৫৭ সালে তিনি সারদা মঠে যোগ দেন। তার ঠিক আট বছর পর ১৯৬৫ সালে সন্ন্যাস নেন। ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যা ভবনের সহ-সম্পাদক এবং ১ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানেরই অধ্যক্ষা হন। ১৯৭৪-এর ১ এপ্রিল থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত বিদ্যা ভবনের সম্পাদক ছিলেন মাতাজি। ১৯৮৩-তে শ্রী সারদা মঠের পরিচালন সমিতির সদস্য হন। ১৯৯৪-এর মে মাসে সঙ্ঘের সহ-সম্পাদক নিযুক্ত হন তিনি। ১৯৯৯ সালের অগস্টে প্রব্রাজিকা মোক্ষপ্রাণা মাতাজির প্রয়াণের পরে ১৭ নভেম্বর থেকে সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন অমলপ্রাণা মাতাজি (Nun Amalaprana Passes Away) ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।