Sarbananda Sonowal: চাবাহার বন্দর নিয়ে চুক্তি সই ভারত-ইরানের, বন্দরটির গুরুত্ব জানেন?...
চাবাহার বন্দর চুক্তি সইয়ের সেই অনুষ্ঠান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর চাবাহার (Chabahar Port) পরিচালনার জন্য আজ, সোমবার চুক্তি স্বাক্ষরিত হল ভারত ও ইরানের মধ্যে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে ইরানে গিয়েছিলেন জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। চুক্তি হল দশ বছরের জন্য। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া ও ইউরেশিয়ান সীমান্তের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সুগম হল।
২০১৬ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে কেবল চাবাহার বন্দরের শাহিদ বেহেসিট টার্মিনালের অপারেশন করতে পারত ভারত। চুক্তি পুনর্নবীকরণ করতে হত ফি বছর। নয়া চুক্তি হল আপাতত ১০ বছরের জন্য। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারত এবার পুরো বন্দরের দায়িত্ব পেল। কারণ বন্দর বাড়াতেও অর্থ সাহায্য করেছে ভারত।
ভারতের জাহাজমন্ত্রীর ইরান সফর এবং এই চুক্তির একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ চুক্তিটি সম্পাদিত হল এমন একটা সময়, যখন ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই প্রথম ওভারসিজ একটি বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিল ভারত (Chabahar Port)।
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারত বন্দরটি পরিচালনা করতে পারবে। শুধু তাই নয়, এই বন্দরটিকে ভারত যুক্ত করতে পারবে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের সঙ্গে। যার জেরে পাকিস্তানকে এড়িয়েই আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার সঙ্গে অনায়াস হবে ভারতের যোগাযোগ। যেহেতু স্থলপথে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পথে প্রধান অন্তরায় পাকিস্তান, তাই এই চুক্তি ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত ও ইরান দুই দেশের কাছেই চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। ভারত এই বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ায় একদিকে যেমন পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ব্যবসা করতে পারবে ইরান, তেমনি অন্যদিকে পাকিস্তানকে এড়িয়ে একটা বাইপাস রুটও তৈরি হল। পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কাউন্টার ব্যালেন্স হিসেবে কাজ করবে চাবাহার বন্দর (Chabahar Port)।
চাবাহার ইরানের প্রথম ডিপওয়াটার বন্দর। ওমান উপসাগরের মুখেই রয়েছে বন্দরটি। এর অবস্থান সিস্টান-বালুচিস্তান প্রভিন্সে। পাকিস্তানের গ্বদর বন্দরের উন্নয়ন করছে চিন। তারই অদূরে চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন করছে ভারত।
২০০২ সালে ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ খাতামির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনা হয় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রের। পরে খাতামি ভারত সফরে এসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজয়েপীর সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের রোডম্যাপে স্বাক্ষর করেন (Chabahar Port)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।