২০১০ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে আইএএস হন ফয়জল
শাহ ফয়জল।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ২০১০। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে আইএএস হন জম্মু-কাশ্মীরের শাহ ফয়জল। এর আগে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ইউপিএসসি পরীক্ষায় কেউ প্রথম হননি। সেই থেকে শিরোনামে শাহ ফয়জল। বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী ফয়জল। তাঁর জীবনটাই যেন একটা অন্য গল্প। চাকরি থকে ইস্তফা দিয়ে ২০১৯ সালে জানুয়ারিতে রাজনীতিতে যোগ দেন। তৈরি করেন নিজের দল জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট (JKPM)। নতুন দল গঠনের ১৬ মাসের মধ্যেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। বুঝত পারেন নেতা হওয়া তাঁর সাজে না। তাঁকে কাজ করতে হবে সমাজের জন্য।
সরকারি মহলের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্র কখনওই ফয়জলের ইস্তফা গ্রহণ করেনি। তাই চার মাস আগে, গত এপ্রিলে শাহ ইস্তফা প্রত্যাহারের আবেদন করলেই তা মঞ্জুর করে তাঁকে আমলা পদে বহাল করে কেন্দ্র। শেষ পর্যন্ত ৩০ অগাস্ট একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় জানায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের উপসচিবের পদে ফয়জলকে নিয়োগ করা হচ্ছে। আগামী চার বছর ওই পদে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: মৃত্যু হল পৃথিবীর 'সবচেয়ে একা' মানুষের, নিজের মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন খোদ নিজেই!
২০১৯ সালে অগাস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্র। জনসুরক্ষা আইনে কাশ্মীরের বাকি রাজনীতিকদের সঙ্গে আটক হন ফয়জলও। এক বছর পর, ২০২০ সালের অগাস্টে ছাড়া পান তিনি। এর পরেই রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৩৯ বছরের ফয়জল।
তার পর থেকেই আমলার চাকরিতে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ফয়জল। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট, এই আট মাসে এত বোঝা চেপেছে আমার উপর, যে এক প্রকার শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। মিথ্যে কল্পনার পিছনে ছুটে এত দিন যা অর্জন করেছিলাম, সব হারিয়েছি। চাকরি। বন্ধু। খ্যাতি। সুনাম। কিন্তু আশা হারাইনি। বরং, আমার আদর্শই আমাকে হতাশ করেছে। কিন্তু, নিজের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। আমি ঠিক করেছিলাম যে ভুল করেছি, তা শুধরে নেব। জীবন আমাকে আরেকটি সুযোগ দিয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।