ধরিয়ে দিতে পারলেই মিলবে ৫০ হাজার টাকা...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন পুলিশ (Police) কনস্টেবলের মেয়ে। পরে হন কুখ্যাত গ্যাংস্টার প্রয়াত আতিক আহমেদের (Atiq Ahmad) স্ত্রী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, স্বামীর মৃত্যুর ঢের আগেই আতিকের সাম্রাজ্যের রাশ হাতে তুলে নিয়েছিলেন শাইস্তা পারভিন (Shaista Parveen)। তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলেই মিলবে ৫০ হাজার টাকা। আতিকের গ্রেফতারির পর থেকে বছর একান্নর এই মহিলাই সামলাচ্ছেন মাফিয়ারাজ।
শাইস্তার বাবা ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল। নাম মহম্মদ হারুন। পরিবার নিয়ে তিনি থাকতেন প্রয়াগরাজের দামুপুর গ্রামে। প্রয়াগরাজের স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন শাইস্তা। ১৯৯৬ সালে আতিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। গ্যাংস্টার স্বামীর সঙ্গে থাকতে থাকতেই অন্ধকার জগতে ঢুকে পড়েন শাইস্তা (Shaista Parveen)। ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন আইনজীবী উমেশ পাল। বিধায়ক রাজু পাল খুনের প্রধান সাক্ষী ছিলেন তিনিই। রাজু খুনে নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ভাই আসরফের।
আরও পড়ুুন: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
জানা যায়, উমেশ খুনের কয়েক দিন আগে গুজরাটের সবরমতী জেলে আতিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শাইস্তা। সেখানেই উমেশ খুনের ষড়যন্ত্র করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে শাইস্তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এর একটি উমেশ হত্যা সংক্রান্ত। বাকিগুলি দায়ের হয়েছিল ২০০৯ সালে। মামলাগুলি প্রতারণা সংক্রান্ত। এর ঢের পরে রাজনীতিতে আসেন শাইস্তা। ২০২১ সালে তিনি যোগ দেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএমে। ২০২৩ সালে করেন দলবদল। যোগ দেন মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টিতে। প্রয়াগরাজের মেয়র নির্বাচনে শাইস্তার দাঁড়ানোর জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও উমেশ হত্যায় নাম জড়ানোয় সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেন বিএসপি নেতৃত্ব।
উমেশ খুনের পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে লেখা চিঠিতে শাইস্তা জানিয়েছিলেন, ওই খুনের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁর পরিবারকে। ছেলে আসাদের মৃত্যুর পর থেকেই আর দেখা যাচ্ছে না শাইস্তাকে। তাঁর খোঁজে রাজ্য চষে বেড়াচ্ছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। প্রসঙ্গত, আতিকের এক আত্মীয় মহম্মদ জিশান জানান, একবার আতিক তাঁর ছেলেকে ২৫ জন শ্যুটার সহ জিশানের কাছে পাঠিয়েছিলেন। জিশানের জমি শাইস্তার (Shaista Parveen) নামে লিখে দিতে বলেছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন ৫ কোটি টাকাও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।