১৯৪৮ সালেই অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের শাক্সগাম দখল করেছিল পাক সেনা, ১৯৬৩ সালে তা চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ...
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বদিকে অবস্থিত শাক্সগাম উপত্যকা (Shaksgam Valley)। সেখানেই চিনা পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সড়ক এবং সুড়ঙ্গ নির্মাণের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল সপ্তাহ খানেক আগেই। মিলেছিল বিদেশি কয়েকটি সংস্থার তোলা উপগ্রহচিত্রও। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হল, ‘‘শাক্সগাম উপত্যকা ভারতের অংশ।’’
পাক অধিকৃত ভারতীয় ভূখণ্ডে শাক্সগাম (Shaksgam Valley) এলাকায় সড়ক এবং সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের চিন সেনার কর্মকাণ্ড নিয়ে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছিল নতুন উপগ্রহচিত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, সেখানে স্থায়ী নির্মাণ চালাচ্ছে চিনা ফৌজ। তৈরি হচ্ছে সড়ক এবং সুড়ঙ্গপথ! প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালেই অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের ওই এলাকা দখল করেছিল পাক সেনা। ১৯৬৩ সালে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বপ্রান্তের শাক্সগাম এলাকা চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ।
বছর কয়েক আগে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীর জুড়ে চিনা ফৌজকে সেতু নির্মাণ করতে দেখা গিয়েছিল উপগ্রহচিত্রে। এর পরেই দেখা গিয়েছিল আকসাই চিন এলাকায় চিন সেনা স্থায়ী বাঙ্কার এবং বড় সুড়ঙ্গ তৈরি করছে। ভবিষ্যতে সংঘাতের পরিস্থিতির মোকাবিলার লক্ষ্যে শি জিনপিংয়ের সেনার এই পদক্ষেপ বলে ধারণা ভারতের। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে দক্ষিণ পাকিস্তান পর্যস্ত বিস্তৃত কারাকোরাম হাইওয়ে গিয়েছে শাক্সগাম উপত্যকার অদূর থেকেই। ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ‘বাই লেন’ মহাসড়ক।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের (Shaksgam Valley) একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণের জন্যই শাক্সগাম থেকে সিপিইসি সংযোগকারী রাস্তা বানাচ্ছে চিনা ফৌজ। যা ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গগুলিতে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেনার পাশাপাশি ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ রসদ মজুত রাখার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলেও তাঁদের অনুমান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।