Shanti Swarup Bhatnagar Prize: গর্বিত বাংলা! বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি

"কেন ভিন রাজ্যে বাংলার মেধা?" প্রশ্ন দেশের সেরা, কলকাতার চিকিৎসক-গবেষক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়ের
Shanti_Swarup_Bhatnagar_Prize
Shanti_Swarup_Bhatnagar_Prize

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন আইআইসিবি-র বাঙালি চিকিৎসক-গবেষক ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত চার বাঙালি বিজ্ঞানী। ৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন ইমিউনোলজিস্ট শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারমোট ১২ জন এই সম্মান পাচ্ছেন। এর মধ্যে ৪ জন বাঙালি। 

শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার কী

দেশে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় পুরস্কার শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize)। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) এর প্রতিষ্ঠা দিবসে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। সিএসআইআর-এর প্রথম ডিরেক্টর শান্তি স্বরূপ ভাটনাগরের নামানুসারে, প্রতি বছর সাতটি বৈজ্ঞানিক শাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়। জীববিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্থ, বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর এবং গ্রহ বিজ্ঞানের মতো ৭ টি বিষয়ে এই পুরস্কার দেওয়া হয়৷ ভাটনগর পুরস্কার স্বরূপ গবেষকদের ৫ লক্ষ টাকা নগদ দেওয়া হয়৷ ৪৫ বছরের কম বয়সী বিজ্ঞানীরা এই সম্মান পেয়ে থাকেন৷

দীপ্যমানের কীর্তি 

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১৯৮৪-র পর এই প্রথম কোনও বাঙালি শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন। কোভিডের উপর কাজ করে এই পুরস্কার পেয়েছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অনাক্রম্যতা (ইমিউনোলজি) বিষয়ে গবেষণা করছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে বিশেষ ভাবে ছিল অটোইমিউন ডিজিজ। সাম্প্রতিক কালে কোভিডে অনাক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কী ভাবে প্রভাব ফেলেছিল, সেটি নিয়েও গবেষণা করেন তিনি। কোভিডে প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক গবেষণাও করেছেন। সেই সমস্ত কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই এই পুরস্কার পেয়েছেন দীপ্যমান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে। লিখেছেন, ‘সম্মানপ্রাপক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাই। বহু বছর পর বাংলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একজন গবেষকের হাত ধরে এই ভাটনগর সম্মান এল।’

কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা?

৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। এই পুরষ্কারের ঝুলিতে রয়েছে—একটি প্রশংসাপত্র, একটি ফলক এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা। এই পুরষ্কার পাওয়ার পর দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‌রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই রাজ্যে আর‌ও বেশি করে গবেষণার পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা চলে যাচ্ছে?‌ সেটাও দেখতে হবে।’

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট প্রকাশ বেলুড় মঠের, স্বামীজি প্রচলন করেছিলেন এই পুজো

আর কোন কোন বাঙালি পেলেন সম্মান

যে চার বাঙালির আলোয় এ বারের ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) উজ্জ্বল, তাঁরা রসায়নে আইআইটি বম্বের দেবব্রত মাইতি, পদার্থবিদ্যায় বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের (আইআইএসসি) অনিন্দ্য দাস ও টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের বাসুদেব দাশগুপ্ত এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজির দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। দেবব্রতের গবেষণা কার্বন এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর পারস্পরিক রাসায়নিক বন্ধন নিয়ে। সন্ধিগত মৌলের অনুঘটন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জীবনদায়ী ওষুধ থেকে কীটনাশক পর্যন্ত বিভিন্ন কিছুর উদ্ভাবনে দিশা দিচ্ছে তাঁর কাজ। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দেবব্রতের পড়াশোনা পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শ্রীরামপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়ে। পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার প্রাপক অনিন্দ্য দাসও বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার প্রাপক আর এক বাঙালি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের (টিআইএফআর) বাসুদেব দাশগুপ্ত। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার স্নাতক স্তরের ছাত্র ছিলেন তিনি।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles