কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে...
নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina) চাইছেন তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Treaty) স্বাক্ষরিত হোক দ্রুত। হাসিনা চাইলেও, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে পা ফেলতে হচ্ছে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাই এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না ভারত।
ভারত ও তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ৫৪টি নদী। এর মধ্যে রয়েছে তিস্তাও। এই তিস্তা ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। তিস্তার উৎপত্তি সিকিমে। সেখানে থেকে এই নদী পশ্চিমবাংলার উত্তরাংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চলে গিয়েছে বাংলাদেশে। ভারত তিস্তার ৫৫ শতাংশ জল দাবি করে। আর বাংলাদেশ যা জল পায়, দাবি করছে তার চেয়েও বেশি। এখানেই মূল সমস্যা।
তিস্তা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের দড়ি টানাটানি চলছে সেই ১৯৮৩ সাল থেকে। ২০১১ সালে ১৫ বছরের জন্য দুই দেশের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি। সেই চুক্তি অনুযায়ী, তিস্তার জলের ৪২.৫ শতাংশে অধিকার ভারতের। আর ৩৭.৫ শতাংশের অধিকার বাংলাদেশের। তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। কারণ, চুক্তির বিরোধিতা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ উদ্যোগী হলেও, এই চুক্তির বিরোধিতা করেন মমতা। প্রত্যাশিতভাবেই দিনের আলো দেখেনি বহু আকাঙ্খিত তিস্তা চুক্তি।
আরও পড়ুন : জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ
শুখা মরশুমে তিস্তার জলের ৫০ শতাংশ দাবি করে বাংলাদেশ। কারণ এই সময় সে দেশে জলের জোগান খুবই কমে যায়। মার খায় সে দেশের বিস্তীর্ণ অংশের চাষবাস। তাই বাংলাদেশ চায় দ্রুত রূপায়িত হোক তিস্তা চুক্তি। তবে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি রূপায়িত করার ক্ষেত্রে ভারতের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পশ্চিমবাংলার অভিযোগ, তিস্তা থেকে প্রয়োজনীয় জল পাচ্ছে না রাজ্য। এমতাবস্থায় বাংলাদেশকে বেশি জল দেওয়া হলে শুখা মরশুমে বিপাকে পড়বেন এ রাজ্যের কৃষকদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও চাষিদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ওই চুক্তি ফেরাতে রাজি নন। সেই কারণেই এখনই যে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে না, তা বলাই যায়।