মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোটে গরহাজির ১২ কংগ্রেস বিধায়ক, ট্র্যাফিক জ্যামকে দায়ী করলেন, কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ ।
একনাথ শিন্ডে।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)পালাবদলের পিছনে রয়েছে দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের (Fadnavis) মস্তিষ্ক। তাঁর অভিজ্ঞতা আর প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয়েছে বিজেপি-শিন্ডে সরকার। আস্থা ভোটে জয় পেয়েই এমনটা জানিয়েছেন খোদ একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)। জয়ের পর শিণ্ডে জানান, মুম্বই ছাড়ার পর প্রতিনিয়ত ফড়ণবিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। গুয়াহাটির হোটেলে যখন সব বিধায়করা ঘুমোতেন তখন চলত শিন্ডে-ফড়ণবিশের আলোচনা, এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী।
শিন্ডে বলেন, বিধান পরিষদ ভোটে তাঁর সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, তার পরেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার সময় কীভাবে পুলিশের নজরদারি এড়িয়েছিলেন সেটাও জানান তিনি। শিণ্ডে বলেন, 'আমি জানি কীভাবে মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে কাউকে ট্র্যাক করা যায়। আমি এটাও জানি কীভাবে এই নজরদারি এড়ানো যায়।' দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই প্রক্রিয়া। সোমবারই আস্থা ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি। তার পরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভাষণ দেওয়ার সময়, বিভিন্ন পক্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে যে ঘটনা একের পর এক ঘটল, তাঁর ‘তার সত্যিকারের শিল্পী’ হলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন উদ্ধবের মন্ত্রিসভায় থাকাকালীন তাঁর দফতরে বার বার নাক গলাতেন অজিত পাওয়ার, আদিত্য ঠাকরেরা, যা তিনি একেবারেই পছন্দ করতেন না। শিন্ডে জানান, এর আগে দুবার মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন তিনি কিন্তু উদ্ধব গোষ্ঠী তাঁকে আটকে দেয়। কোনও সাধারণ মানুষও যে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে তা মানতে চাইত না উদ্ধব-গোষ্ঠী, দাবি শিন্ডের।
আরও পড়ুন: রাজনীতি করি না! মানুষের জন্য কাজ করি, বঙ্গ রাজনীতিতে ফের সক্রিয় মহাগুরু
অন্যদিকে, সোমবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোটে (floor test)অংশ না নেওয়ার জন্য ট্র্যাফিক জ্যামকে দায়ী করলেন, কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ (Ashok Chavan)। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জন সোমবারের আস্থা ভোটে অংশ নেননি। সময় মতো বিধানসভায় পৌঁছতে না পারার কারণেই এই বিধায়করা আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে অশোক চহ্বান বলেন, ‘সাধারণত, প্রথমে আলোচনা হয়, তারপর ভোট হয়। কিন্তু এদিন তা হয়নি। যাইহোক, যেহেতু সরকার ১৬৪ ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে, তাই বিরোধীদের সংখ্যায় কিছু যায় আসে না।’ এক শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে বিধায়কদের অনুপস্থিতি ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে না। ‘যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিধায়করা অনুপস্থিত থেকে থাকেন, তবে দলকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’