মন্দিরে ঢোকা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবমন্দিরে (Shivratri) প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ। জখম অন্তত ১৪ জন। শনিবার ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের (Clashes Over Caste) দক্ষিণ পশ্চিমের খারগন জেলার ছাপরা সানাওয়াড় এলাকায়। এদিন স্থানীয় এক শিব মন্দিরে প্রার্থনা করতে ভিড় করেছিলেন বহু পুণ্যার্থী। দলিত সম্প্রদায়ের কয়েকজনও জল ঢালতে ওই মন্দিরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, উচ্চবর্ণের লোকজন তাঁদের বাধা দেন। তার জেরেই বাঁধে সংঘর্ষ।
রাজধানী ভোপাল থেকে অকুস্থলের দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। স্থানীয়রা জানান, মন্দিরে ঢোকা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। তার জেরে শুরু হয় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি। দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের অভিযোগ, মন্দিরে তাঁদের প্রবেশ করা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। বচসা থেকে হাতাহাতি এবং পরে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক বিনোদ দীক্ষিত জানান, দুই তরফে ইটবৃষ্টি চলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। অভিযোগ জমা পড়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে...’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের
দলিত সম্প্রদায়ের দাবি, স্থানীয় গুর্জর নেতা ভাইয়ালাল পটেলের নেতৃত্বেই অশান্তির শুরু। প্রথমে দলিত মেয়েদের মন্দিরে (Shivratri) ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ১৭ জন সন্দেহভাজন ও ২৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। প্রেমলাল নামের এক দলিতের অভিযোগ, গুর্জর সম্প্রদায়ের নেতা ভাইয়ালাল পটেল দলিত যুবতীদের মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেন। এক দলিত মহিলার দাবি, শিবের মাথায় জল ঢালতে গেলে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। রবীন্দ্র রাও মারাঠা নামে এক ব্যক্তির দাবি, প্রেমলাল সহ ৩৪ জন হাতিয়ার নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হন।
মধ্যপ্রদেশে অবশ্য এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরও খারগনের ওই শিবমন্দিরেই (Shivratri) ঢোকা নিয়ে অশান্তি হয়েছিল। সেবার খোদ মন্দিরের পুরোহিত শিবরাত্রিতে দলিত কন্যার প্রবেশে বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় ওই পুরোহিত ও আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।
স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মন্দিরে কাউকে প্রবেশে বাধা দেওয়া যাবে না বলে স্থানীয়দের বুঝিয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে একটি বটগাছ কেটে ফেলা ও বিআর আম্বেদকরের মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। তিনি জানান, গুর্জরদের তরফেও দলিত সম্প্রদায়ের ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।