এখনও মেলেনি শ্রদ্ধার খুলি, মোবাইল ফোন, খুনের অস্ত্র
শ্রদ্ধা ওয়ালকর ও আফতাব পুনাওয়ালা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে চালাবে সংসারের খরচ এই নিয়েই বচসা শুরু হয়েছিল ১৮ মে। তারপরই সেই ভয়ঙ্কর পরিণতি আড়াই বছর ধরে লিভ-ইনে থাকা সঙ্গীর হাতে খুন হয় শ্রদ্ধা। পুলিশের জেরায় এমনই জানিয়েছে আফতাব। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের সবরকম প্রয়াস চালায় সে। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রাখে। তারপর রাতের অন্ধকারে তা ফেলে আসে জঙ্গলে। এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার দেহের মাত্র ১০ থেকে ১৩টি হার পাওয়া গিয়েছে।
খুলি অধরা: শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করা হলেও তার মাত্র ১০ থেকে ১৩ টি হার পেয়েছে পুলিশ। ৬ মাস আগের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই দেহাংশ খুঁজে বার করা বেশ কঠিন। দেহাংশ পচে যেতে পারে, কোনও জীবজন্তু তা খেয়ে ফেলতে পারে। তবে শ্রদ্ধার খুলির খোঁজ চলছে।
ফরেন্সিক ল্যাব: দেহাংশগুলি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেগুলি আদতে শ্রদ্ধার না অন্য কিছুর তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রক্তের দাগ: আফতাবের (Aftab Amin Poonawala) দিল্লির ছত্তরপুরের ফ্ল্যাটে একাধিক রক্তের দাগ মিলেছে। রান্নাঘর-সহ ফ্ল্যাটের একাধিক জায়গায় মিলেছে রক্তের দাগ।
ডিএনএ পরীক্ষা: রক্তের দাগ শ্রদ্ধার শরীরের কি না, তা খতিয়ে দেখতে নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। এসবের পাশাপাশি আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে যে রক্তের দাগ মিলেছে, তার ডিএনএ পরীক্ষা করতে শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকরকেও ডাকা হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে। আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা রক্তের নমুনার ডিএনএ পরীক্ষার পর তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: নিজের পাতা ফাঁদেই ধরা পড়ল আফতাব! শ্রদ্ধা খুনে নয়া দিক
জলের বিল: আফতাবের ওই ফ্ল্যাটের জলের বিল বকেয়া রয়েছে। ওই মাসে ৩০০টাকা জলের বিল আসায়, পুলিশের অনুমান রক্তের দাগ ধোয়ার জন্য প্রচুর জল খরচ করেছে আফতাব।
শাওয়ারের নীচেই আশ্রয়: শ্রদ্ধাকে বাথরুমে নিয়ে যাওয়ার পর সেখনাকার শাওয়ার ছেড়ে দেয় আফতাব। তারপর দেহ টুকরো করতে থাকে। শাওয়ারের তলায় পুরো কাজটি করে সে। যাতে রক্ত শাওয়ারের জলে ভেসে বাইরে চলে যেতে পারে খুব সহজে, তাই এই পদ্ধতি।
সিসিটিভি ফুটেজ: কোনও ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যে কোনও জায়গায় ১৫ দিনের সিসিটিভি ফুটেজ সহজে মেলে। এক্ষেত্রে ঘটনাটি ৬ মাস আগের। তাই সেই ফুটেজ খুঁজছে পুলিশ।
আফতাবের হাতে ক্ষতের দাগ: গত মে মাসে আফতাব একবার চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিল। তার হাতে কাটার দাগ ছিল। সে চিকিৎসককে বলে ফল কাটতে গিয়ে হাত কেটে গিয়েছে। খুব বড় আঘাত নয়। কিন্তু আঘাতটি ছিল বেশ গভীর বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই চিকিৎসক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।