পুলিশের তরফে অভিযোগ আসে যে, খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে আফতাব।
শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে এল আরও ঠোস প্রমাণ। আফতাব পুনাওয়ালার বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ। যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত। এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।
মঙ্গলবার পাঁচদিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আফতাবকে (Shraddha Walker) ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সে এমন মন্তব্য করেছে। শুনানি শেষে অভিযুক্ত আফতাবকে ফের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আফতাব বিচারকের সামনে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ও দেহের অংশ টুকরো টুকরো করে কাটার ঘটনাটিও স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে হতবাক সবাই। আফতাব বিচারকের সামনে বলেছে, ‘HEAT OF THE MOMENT' হয়েছে সবকিছু। অর্থাৎ ‘মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’
আফতাব (Shraddha Walker) আরও জানায় যে, সে তদন্তে সহযোগিতা করেছে। সে কীভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে, কীভাবে শ্রদ্ধার দেহের অংশ টুকরো টুকরো করেছে ও কোথায় সেগুলো ফেলেছে, সেসব বিষয়েই পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তবে সে বলেছে যে, ঘটনার অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তিনি সবকিছু মনে করতে পারছে না।
তবে পুলিশের তরফে অভিযোগ আসে যে, সে খুনের কথা স্বীকার করলেও কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেয়নি। আদালতে পুলিশ তার নামে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায় যে, আফতাব ভুল তথ্য দিয়েছে ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করছে।
শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walker) আগেই আঁচ পেয়েছিলেন সবটা। তিনি আশঙ্কায় ছিলেন, যে কোনও মুহূর্তে তাঁকে খুন করে ফেলতে পারে প্রেমিক আফতাব। ছয় মাস ধেরে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এরপর আর সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর মুম্বইয়ের ভাসাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার কুকীর্তি নিয়ে পুলিশকে সবটা জানিয়েছিলেন পুলিশকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: