img

Follow us on

Sunday, Jun 30, 2024

Shraddha Walkar Murder: নিখোঁজ আফতাবের পরিবার, খুনে যুক্ত তারাও, দাবি শ্রদ্ধার বাবার

জানা গিয়েছে, মেয়ের বিষয়ে জানতে শ্রদ্ধার পরিবার ভাসাইতে আফতাবের বাড়ি গেলে, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

img

শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা

  2022-11-19 13:45:58

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা (Shraddha Walkar Murder) মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই একের পর এক হাড় হিম করা তথ্য উঠে আসছে দিল্লি পুলিশের হাতে। সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়ালকাররের বাবা দাবি করেছেন, তাঁর ২৭ বছর বয়সী মেয়ের খুনে জড়িত রয়েছে আফতাবের পরিবারের সদস্যরাও। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আফতাবের পরিবারের সবাই নিখোঁজ। এখন আমার মনে হচ্ছে পরিবারও এই খুনের সঙ্গে যুক্ত।" তিনি আরও বলেন, "যখন আমরা আফতাব-শ্রদ্ধার বিষয়ে জানতে ওদের বাড়ি যাই, ওরা আমাদের কোনও রকম সাহায্য করেনি।" দিল্লি পুলিশ কেন এখনও আফতাবের পরিবারকে জেরা করছে না, সে বিষয়ে প্রশ্নও তোলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। আফতাবকে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি করেন তিনি। 

আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে বিয়ার-সিগারেট খান আফতাব, দেখেন নেটফ্লিক্স

অন্য একটি সাক্ষাৎকারে শ্রদ্ধার বাবা বলেন, "২০২১ সালে আমার শেষ বার শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা হয়। আফতাবের খারাপ আচরণের বিষয়ে সে কিছুই জানায়নি। কিন্তু আফতাবের মায়ের সঙ্গে যে সম্পর্ক ভালো নয়, তা জানিয়েছিল। তারপরে আমার ছেলে আমাকে সবটা জানায়। আমি, আমার স্ত্রী এবং স্ত্রীর বোন ওদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, আফতাবের ভাই আমাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয় নি।"

জানা গিয়েছে, মেয়ের বিষয়ে জানতে শ্রদ্ধার পরিবার ভাসাইতে আফতাবের বাড়ি গেলে, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আফতাবের পরিবার আফতাবকে ফোন করে শ্রদ্ধার বাবাকে বলতে বলে, যাতে এই বিষয়ে তাদের জড়ানো না হয়। এরপরেই মানিকপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়, আফতাবের পরিবার নিখোঁজ। 

 

মুসলিম প্রেমিকের হাতে খুন হিন্দু প্রেমিকা

বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Shraddha Walkar Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় পরিচয় হয় দুই যুবক-যুবতীর। সেখান থেকে প্রেম। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Shraddha Walkar Murder)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Shraddha Walkar Murder)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

Tags:

Shraddha Walkar Murder

Aftab Amin Poonawala


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর