img

Follow us on

Sunday, Jan 19, 2025

Gyanvapi Row: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

এর আগে মুসলিম পক্ষের তরফে ৫১ দফা যুক্তি শুনেছিল আদালত...

img

জ্ঞানবাপী মসজিদ। ফাইল ছবি

  2022-07-14 17:54:03

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসী জেলা আদালতে শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার (Gyanvapi Mosque Case)  শুনানি। এদিন দুপুর দুটোয় জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এ কে বিশ্বাসের এজলাসে শোনা হয় আবেদনকারী পাঁচ হিন্দু (Hindu) মহিলা ভক্তের তরফে জ্ঞানবাপী চত্বরের মা শৃঙ্গার গৌরীস্থলে (Shringar Gauri)  পুজোআচ্চার জন্য আবেদনের পক্ষে যুক্তি।

জুলাই মাসের চার তারিখে মুসলিম পক্ষের তরফে ৫১ দফা যুক্তি শুনেছিল আদালত। অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটিই দেখাশোনা করে জ্ঞানবাপী মসজিদ। ওই কমিটির আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ আমলেও জ্ঞানবাপী মসজিদের জমিতে মন্দির গড়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৩৬ সালে বারাণসী আদালতে সেই আবেদন জানানো হলেও, ওই মসজিদে নমাজ আদায়ের অধিকার বজায় থাকে ১৯৩৭ সালের রায়ে। তার পর থেকে মসজিদে নিত্য নমাজ পড়েন নমাজিরা।

২০২১ সালের অগস্টে পাঁচজন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী এবং মসজিদের ভিতরের পশ্চিমের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব রয়েছে দাবি করে তা পুজোর অনুমতি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটি মসজিদের ভিতরে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয়। সেই ভিডিওগ্রাফির একটি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তাতে দেখা গিয়েছে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, শিবলিঙ্গ নয়, ওজুখানার জলাধারে রয়েছে পুরানো ফোয়ারা।  

ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। ১৯৯১ সালে সোমনাথ ব্যাস এবং রামরঙ্গ শর্মা নামে দুই আবেদনকারী জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুত্বের অধিকারের দাবিতেও একটি মামলা করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, ১৯৯১ এর ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইন অনুযায়ী জ্ঞানবাপী মসজিদ আবেদনকারী পক্ষকে দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে বর্তমান বন্দোবস্তই বহাল থাকবে। ওই আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের আগে থেকে দেশে যেসব ধর্মীয় কাঠামো রয়েছে, তার চরিত্র কোনওভাবেই পালটানো যাবে না। যদিও হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন এবং হরিশঙ্কর জৈনের দাবি, ১৯৯১ সালের ওই আইন জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

 

Tags:

Gyanvapi case

gyanvapi row

Shringar gauri

petitioners seek puja rights 


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর