এয়ারলিফট না হলে সড়কপথে ফেরানর সম্ভাবনা
বিপর্যস্ত সিকিম (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে আটকে পড়েছেন প্রায় ১৩০০-র কাছকাছি পর্যটক। সিকিমে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের নাজেহাল অবস্থা কাটার কোন উপায় দেখা যাচ্ছে না। খারাপ আবহাওয়ার কারণে রবিবার হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপদ জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। বহু জায়গায় রাস্তা খারাপ, ধস নেমেছে। তাই পর্যটকদের সড়কপথেও ফিরিয়ে (Sikkim News) আনার কোনও উপায় নেই। ফলে আটকে থাকা পর্যটকদের কবে ফেরানো সম্ভব হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উত্তর সিকিমে পর্যটকদের উদ্ধার কাজ থমকে রয়েছে। আগে ঘোষণা করা হয়েছিল রবিবার সকাল থেকে হেলিকপ্টারে পর্যটকদের (Sikkim News) উদ্ধার করা হবে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে নতুন করে একাধিক জায়গায় ধসের কারণে রবিবার সড়কপথে পর্যটকদের উদ্ধার করা গেল না। এখন অপেক্ষা সোমবার যদি সোমবার বৃষ্টি কম হয় এবং পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলে উদ্ধারকার সম্ভব হবে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এয়ারলিফট করা হবে পর্যটকদের। তবে আবহাওয়ার উন্নতি না হলে সড়ক পথেই ফেরাতে হবে তাঁদের। সে ক্ষেত্রে রাস্তা সারাইয়ের জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হতে পারে। জানা গিয়েছে সোমবার উত্তর সিকিমের টুং থেকে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে পেরোতে হবে আটকে থাকা পর্যটকদের। মঙ্গন পর্যন্ত ধস রয়েছে। মঙ্গন পেরিয়ে যাওয়ার পর পর্যটন সংস্থার গাড়িতে তাঁরা গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
প্রসঙ্গত খারাপ আবহাওয়ার জন্য সোমবার আরও কয়েকটি পরিকল্পনা ভেবে রেখেছে প্রশাসন। রবিবারও অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। স্বাভাবিকভাবেই (Sikkim News) পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে সাময়িকভাবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এমতাবস্থায় যদি আরও কয়েক জায়গায় ধস নামে তাহলে সেনার সাহায্য নেওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। অন্যদিকে সিকিম প্রশাসন নিজেরা উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধস মোকাবিলায় নেমেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা সারানোর কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: ফ্রিজে গোমাংস, মধ্যপ্রদেশে চলল বুলডোজার অ্যাকশন
প্রসঙ্গত উত্তর সিকিমে লাচুঙয়ে আটকে পড়া পর্যটকরা রবিবারও দ্রুত বাড়ি ফেরানোর আবেদন করে ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় খাদ্য সরবরাহ, বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যুর খবর এসেছে সিকিম থেকে। নদীর জলস্তর বেড়ে কোথাও বাড়ির মধ্যে ঢুকেছে, আবার কোথাও চা বাগানে তিস্তা সহ অন্য নদীর জল ঢুকে পড়েছে। এমতাবস্থায় সিকিমে বিপর্যয় এড়াতে পর্যটকরা যেখানে আছেন সেখান থেকে ঝুঁকি নিয়ে অন্য কোথাও না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।