Flood Situation: ভাঙল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, ‘এয়ারলিফ্ট’ করে পর্যটকদের উদ্ধারের দাবি
তিস্তার জলে ভাসল সিকিম।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা। নদীর তাণ্ডবে আশপাশের এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। নিখোঁজ ২৩ জওয়ান। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। জলের তোড়ে ভেঙেছে এনএইচ ১০। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিকিম থেকে দার্জিলিং-শিলিগুড়ির যাতায়াতের রাস্তা। অপরদিকে, সিকিমের চুংথাংয়ের লোনার লেকের প্রাচীর ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে। শুধু তিস্তা নয়, রংফু নদীর জলস্তরও বেড়েছে। ধসের কারণে আনুমানিক দু হাজার বাঙালি পর্যটক সিকিমে আটকে রয়েছে, বলে খবর।
#Sikkim: In view of flooding of Teesta river, all government and private schools in Pakyong, Gangtok, Namchi and Mangan districts shall remain closed till 8th October, 2023.
— All India Radio News (@airnewsalerts) October 4, 2023
Emergency Operating Center(EOC)- Helpline Number
03592-202461/201145
HELPLINE NUMBER…
তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গন জেলা। ভেসে গিয়েছে বহু সেতু। জলমগ্ন বাড়িঘর। কিছু জায়গায় জলের তোড়ে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে বড় বড় বিল্ডিং। কাদাস্রোতের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে বহু বসতি, রাস্তাঘাট, সেনাছাউনি। স্বভাবতই তিস্তার ধ্বংসলীলায় কত প্রাণহানি হয়েছে, সেই প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উত্তর সিকিমের বিকচুতে তিন জনের দেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পরিস্থিতি জরিপ করে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গনের সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে একাধিক জরুরি পরিষেবার নম্বর। তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তিস্তায় জল বাড়ার প্রভাব গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে পড়ার আশঙ্কা। তিস্তা জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন অংশ দিয়েও বয়ে চলে যায়। সে কারণে পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও জলের স্রোত বাড়লে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় কলকাতা, আর মেয়র ধর্না দিচ্ছেন দিল্লিতে!
পুজোয় বাকি আর হাতে গোনা মাত্র ১৬ দিন। এরই মধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় উত্তর সিকিমে। পুজোর সময় সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে বহু মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বেড়েছে পর্যটকদের। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলার অন্তত দু’হাজার পর্যটক সিকিমে আটকে পড়েছেন। জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। ফলে আপাতত অবরুদ্ধ ফেরার পথও। রাজ্য প্রশাসনের তরফে সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সিকিমের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ১০ নং জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কালিম্পঙ যাওয়ার জন্য লাভা, গোরুবাথান হয়ে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। সেই পথের অবস্থাও ভাল নয়। আটক পর্যটকদের পক্ষ থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, আটকে পড়া পর্যটকদের এয়ারলিফ্টিং করে উদ্ধার করার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।