জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেও দেওয়া হল অতিরিক্ত দায়িত্ব...
স্মৃতি ইরানি। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। এতদিন ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বিজেপির (BJP) মুখতার আব্বাস নাকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। তিনি ইস্তফা দেওয়ায় ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল স্মৃতিকে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের পাশাপাশি এই মন্ত্রকটিও সামলাবেন স্মৃতি। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হয়েছে ইস্পাত মন্ত্রকের দায়িত্ব।
২০০৬ সালে মনমোহন সিংহের জমানায় সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ভেঙে তৈরি হয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক। তার পর থেকে ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলে আসছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধি। মোদি সরকারের সময়ও ওই দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বিজেপির মুখতার আব্বাস নাকভি। রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেন মুখতার। তার পরেই ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্মৃতিকে। স্মৃতিই প্রথম অমুসলিম ব্যক্তিত্ব যাঁকে দেওয়া হল এই মন্ত্রকের দায়িত্ব। স্মৃতির আগে ছিলেন মুখতার আব্বাস নাকভি। তাঁর আগে ছিলেন নাজমা হেপতুল্লা। তাঁর আগে ওই মন্ত্রক সামলেছিলেন কে রহমান খান। তাঁরও আগে ছিলেন সলমন খুরশিদ। খুরশিদের পূর্বসূরি ছিলেন আবদুল রহমান আন্তুলে। রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ায় মন্ত্রিত্ব পদে ইস্তফা দিয়েছেন আরসিপি সিং-ও। তাঁর ইস্পাত মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জ্যোতিরাদিত্যকে।
আরও পড়ুন : মমতার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েই কি বাংলায় প্রচারে নারাজ যশবন্ত সিনহা?
অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্মৃতি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমাকে দেওয়া দায়িত্ব পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশসেবার সংকল্প জারি রাখব।
আরও পড়ুন : রাজ্যসভায় মনোনীত পিটি ঊষা- ইলাইয়ারাজা সহ ৪, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, সংঘ্যালঘু মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখতার। তিনি পদত্যাগ করায় মোদি মন্ত্রিসভায় এই সম্প্রদায়ের আর কোনও মুখ রইল না। তবে মুখতারকে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিত্ব পদে ইস্তফা দেওয়ার আগে মুখতার সাক্ষাৎ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। তার পরেই তাঁর উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ছড়ায় জোর জল্পনা।