ক্ষতিগ্রস্তদের যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী বন্দোবস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে
জোশীমঠে তুষারপাত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিধসের পর এবার তুষারপাত। জোশীমঠকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক অব্যাহত (Joshimath Sinking)। ভূমিধসের কারণে এলাকার প্রচুর বাড়িতে ফাটল। ‘বিপজ্জনক’ চিহ্নিত করে সেইসব বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। গত কয়েক দিনে নতুন করে আর ফাটল ধরেনি সেখানকার কোনও বাড়িতে। কিন্তু সম্প্রতি হিমালয়ের কোলে থাকা এই শহরে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত এবং বৃষ্টি। আর এতেই নয়া বিপদের আশঙ্কায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
প্রশাসনের তরফে শহরের বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে গিয়ে নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন দেওয়া হলেও, এখনও সেখানকার প্রায় ৬০০টি বাড়িতে বাসিন্দারা রয়ে গিয়েছেন। এই সব বাড়িগুলিতে অল্প ফাটল ধরায় তাদের কেউ অন্যত্র যেতে চাননি। কিন্তু জোশীমঠবাসীর আশঙ্কা, তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। নতুন করে ভূমিধসও নামতে পারে এলাকায়। তাই আর কোনও অস্থায়ী আশ্রয় শিবির বা মাথা গোঁজার ঠাঁই নয়, এ বার গাড়োয়াল হিমালয়ের ‘ডুবন্ত’ জনপদ জোশীমঠের সকল বাসিন্দাকে পাকাপাকি সরানোর বন্দোবস্ত করতে চাইছে প্রশাসন। চলছে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা। খোঁজ চলছে বসবাসযোগ্য উপযুক্ত জমিরও। চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা জানিয়েছেন, “আমরা এই পুনর্বাসনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পরামর্শ চেয়েছি। আমরা যাতে এই প্রক্রিয়া ভালভাবে চালিয়ে যেতে পারি সেটাই এখন আমাদের প্রথম লক্ষ্য।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হল স্থানীয়দের পরামর্শ নিয়ে স্থায়ী বন্দোবস্ত করা।”
আরও পড়ুন: এবার জানা যাবে জ্ঞানবাপীর 'শিবলিঙ্গের' বয়স? পুরাতত্ত্ববিদদের আট সপ্তাহ সময় আদালতের
সম্প্রতি জোশীমঠের যে স্যাটেলাইট ছবি ধরা পড়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের পূর্বাংশ ধীরে ধীরে বসে গেছে। একটি গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, এই চারবছরে বেশ অনেকটাই জমি বসে গেছে। প্রতি বছরে সর্বাধিক ১০ সেন্টিমিটার করে জমি তলিয়ে গেছে। গবেষণায় আরও জানা গেছে, উত্তরাখণ্ডের পূর্বাংশ তুলনায় বেশি বসে যাচ্ছে। জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জোশীমঠের বসবাসের ৭০ শতাংশ জায়গা সুরক্ষিত রয়েছে। ভূমিধসের কবলে পড়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী বন্দোবস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।