কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রি গত ২৪শে ডিসেম্বর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য নতুন নির্দেশিকা লাগু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷
সোশ্যাল মিডিয়া
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের (Social Media Influencers) জন্যে নয়া নিয়ম জারি করল কেন্দ্র। না মানলে ১০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা অবধি জরিমানা হতে পারে। বর্তমানে এই ইন্টারনেটের যুগে, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার নামটি ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়। অনেক সাধারণ মানুষ এদের অনুসরণ করে থাকেন। বিশেষ করে কম বয়সী ছেলে মেয়েদের ওপর বড় প্রভাব রয়েছে ইনফ্লুয়েন্সারদের। শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু ইনফ্লুয়েন্সার। ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের পেজ বা চ্যানেলকে মনিটাইজ করে বহু অর্থ উপার্জন করেন। ইনফ্লুয়েন্সার নিয়ে ২০ জানুয়ারি কনসিউমার অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক এক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার গাইডলাইন লঙ্ঘন করলে ইনফ্লুয়েন্সারদের ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। যদি বার বার এই নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে জরিমানার পরিমান ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রি গত ২৪শে ডিসেম্বর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের (Social Media Influencers) জন্য নতুন নির্দেশিকা লাগু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ এই নতুন গাইডলাইনের অধীনে, প্রত্যেক ইনফ্লুয়েন্সারকে নিজেদের ফলোয়ারদের কাছে ঘোষণা করতে হবে যে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইগুলিতে পোস্ট করা ভিডিও বা ছবিতে দেখানো প্রোডাক্টের প্রচারের জন্য অর্থ পেয়েছেন। আর যদি এই নিয়মের অবমাননা করা হয়, তবে বিনা ঘোষণায় কোনও পণ্যের পেইড প্রমোশন করার জন্য সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় নেতাজির জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র রোজগারের লোভে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা (Social Media Influencers), পোস্ট বা ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করা প্রোডাক্টগুলিকে অনেক সময় নিজেরা ব্যবহার না করেই ভালো রিভিউ দিয়ে থাকেন। একইসঙ্গে মানুষকে তা কেনার জন্য পরামর্শ দেন। ওই সব ইনফ্লুয়েন্সারদের ওপর ভরসা করে কোনও রকম বিবেচনা না করেই অনেকেই সেই প্রোডাক্ট ব্যবহারও করে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে একটি প্রোডাক্টের গুনাগুন পরীক্ষা না করেই তা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া যাবে না বলেও ওই নির্দেশিকায় বলে হয়েছে। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।