বৃহস্পতিবারের পর থেকে সোনালির মৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ।
সোনালি ফোগাট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনে সোনালি হত্যা মামলায় (Sonali Phogat Death Case) তদন্তের ভার নেবে সিবিআই (CBI)। রবিবার নিশ্চিত করলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত (Pramod Sawant)। যত দিন যাচ্ছে ততই সোনালি ফোগাট মামলায় ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে এই সিনেমা। সোনালি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে গোয়া পুলিশ। সেই তদন্তে নাখুশ সোনালির পরিবার। তাই সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের (Manohar Lal Khattar) বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। তদন্ত যাতে ঠিক ভাবে হয়, তার জন্য সিবিআই হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সোনালিকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাদক, চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়া পুলিশের
খট্টরের অনুরোধেই রবিবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত সোনালি-হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রমোদের কথায়,“সিবিআই দায়িত্ব গ্রহণ করুক। এতে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমাদের দিক থেকে সব চেষ্টা করব। পরে প্রয়োজনে মামলা সিবিআই- এর হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
গোয়ায় ঘুরতে গিয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি নেত্রী তথা টিকটক স্টার সোনালি ফোগাটের। প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর কারণ লেখা হলেও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তদন্তে নেমে একে একে চাঞ্চল্যকর বিষয় জানতে পারে পুলিশ। জোর করে মাদক খাওয়ানো, তিন বছর ধরে ক্রমাগত ধর্ষণ, শরীরে ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের মতো ভয়ঙ্কর বিষয় সামনে আসে। ময়না তদন্তের রিপোর্টেও প্রায় একই দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী
রবিবার হরিয়ানার বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাচক্রে, এই ব্যক্তিও এক জন মাদক পাচারকারী। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়া পুলিশ। রেস্তোরাঁর মালিক এবং মাদক পাচারকারীকে ৫ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাদের জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেনি আদালত।
Sonali Phogat murder case | Edwin Nunes, owner of curlies restaurant along with another accused, Dattaprasad Gaonkar to be produced in a court in Goa, a day after their arrest in the case pic.twitter.com/Tsq25BzhEG
— ANI (@ANI) August 28, 2022
বৃহস্পতিবারের পর থেকে সোনালির মৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। এর মধ্যে তিন জনই মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত স। এদের মধ্যে দুজনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার মধ্যে এক জন গোয়ার আঞ্জুনা বিচের সৈকত-রেস্তোরাঁ তথা পাব ‘কার্লিজ শ্যাক’-এর মালিক এডউইন জোসেফ নুনেজ। অন্য জনের নাম দত্তপ্রসাদ গাঁওকর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি মাদক পাচারকারী। ওই গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার গ্রেফতার করা হয় তৃতীয় মাদক পাচারকারীকে। সূত্রের খবর, এই তৃতীয় মাদক পাচারকারী সোনালির সহকর্মীদের মাদক এনে দিয়েছিলেন।