State-run Banks: ব্যাংকের আয় বাড়বে এবং সমগ্র ব্যাংকিং প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রতারণা রুখতে বিশেষ উদ্যোগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা (Fraud) এবং ঋণখেলাপি (stressed borrowers) রুখতে পৃথক ডেটা অ্যানালেটিক উইং (Analytics Wing) রাখতে পারে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি। এর আগে ব্যাংকগুলিকে প্রতারণা এবং ঋণখেলাপি রোখার বিষয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এবার নড়েচড়ে বসল ব্যাংকগুলি।
বিশেষজ্ঞদের একটি দল ডেটা অ্যানালেটিক উইং হিসেবে কাজ করবে। এই দলের মূল কাজ হবে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা। ব্যাংকের আয় থেকে ঋণ কাদের দেওয়া হচ্ছে, কবে টাকা ফেরত আসছে সহ গ্রাহক পরিষেবা সবটাই পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে ব্যাংকের এই বিশেষ উইং। সেইমতো পদক্ষেপ নেবে ব্যাংকগুলি। ঋণগ্রহীতাদের ওপর কড়া নজর রাখা এবং ঠিক সময়ে ঋণের টাকা ব্যাংক-এর ভাঁড়ারে আসছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখবে ডেটা অ্যানালেটিক উইং।
আরও পড়ুন: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের 'ওয়াটার মার্ক'?
এক আধিকারিকের মতে, "এই ব্যবস্থায় ব্যপক উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এতে ব্যাংকগুলির আয় বাড়বে, এক নতুন মার্কেট পেতে পারে ব্যাংকগুলি। এমনকি প্রতিযোগীতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এই বিশেষ উইংযুক্ত ব্যাংকগুলি।"
আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?
আধিকারিক আরও জানান, "এই দল ব্যাংকের আয়, গ্রাহক পরিষেবা, কস্ট-রিস্ক এবং ম্যানেজমেন্ট, ঋণ নীতি, প্রতারণা রোধ সবদিকেই নজর রাখবে। এতে গ্রাহক পরিষেবায় এক নতুন মাত্রা আসবে। এমনকি ব্যাংক-এর ঋণ দেওয়া, বীমা, বিনিয়গের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেও সাহায্য করবে এই দল।"
প্রতিযোগীতার বাজারে ব্যাংকগুলিকে আরও উপযুক্ত করতে এবং ব্যবসাক্ষেত্রে আরও জোয়ার আনতে মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ উইং বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টগুলিকে পর্যালোচনা করবে এবং ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করবে। ফলে ব্যাংকের আয় বাড়বে এবং সমগ্র ব্যাংকিং প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
নীরব মোদি-মেহুল চোক্সী প্রতারণা-কাণ্ডে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংককে (পিএনবি) ১৩,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছিল। তার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা পাওনা বাকি রেখে গোপনে দেশ ছেড়েছিলেন বিজয় মাল্য। একের পর এক প্রতারণার ঘটনা থেকে এবার সাবধান হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি।