Sugarcane: ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত সরকারের নীতির দৌলতেই চিনি রপ্তানির রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আখ উৎপাদনে ভারত বিশ্বসেরার মুকুট ছিনিয়ে নিল ভারত। গত বছরে আখের রেকর্ড উৎপাদন। এর ফলে ভারতে চিনির উৎপাদনও বেড়ে গিয়েছে ভারতে। খাদ্য ও জনবন্টন মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে গত বছরের মরসুমে রেকর্ড ৫,০০০ লক্ষ মেট্রিক টন (LMT) আখ উৎপাদন হয়েছে। এর ফলে বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারীর স্থান অর্জন করেছে ভারত। এর আগে বিশ্বসেরার শিরোপা ছিল ব্রাজিলের। ফলে বর্তমানে আখ উৎপাদনে ভারতের পর স্থান ব্রাজিলের।
এতদিন ব্রাজিলই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম আখ উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু আখ উৎপাদনে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে ভারত। গত বছরের শুরুতে ১ জুন থেকে কেন্দ্রীয় সরকার চিনি রপ্তানির উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে। ১০০ LMT ছিল সেই সীমা। উৎসবের মরশুমে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। খাদ্য ও জনবন্টন মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, গতবছরের মৌসুমে রেকর্ড ৫ হাজার লক্ষ টন আখ উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৭৪ লক্ষ টন আখ থেকে উৎপাদন করা হয়েছে ৩৯৫ লক্ষ টন চিনি (সুক্রোজ)। এর মধ্যে ৩৬ লক্ষ টন চিনি ব্যবহার করা হয়েছে ইথানল, অন্যদিকে সুগার মিলগুলো ৩৫৯ লক্ষ টন খাদ্য চিনি উৎপাদন করেছে।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির অদূরে মিলল বোমা, নেপথ্যে কারা?
ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের চিনি রপ্তানির পরিমাণ ৫৭ ভাগ বেড়েছে। এই সময়ে ভারত ১০৯.৮ লক্ষ টন চিনি রপ্তানি করেছে, যা রেকর্ড মাত্রা। এর মাধ্যমে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ চিনি রপ্তানিকার দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। ভারত এখন বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী এবং ভোক্তা এবং ব্রাজিলের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রপ্তানিকারক।
ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভালো মূল্য এবং ভারত সরকারের নীতির দৌলতেই চিনি রপ্তানির রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এসব রপ্তানিতে ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। তাছাড়া গত পাঁচ বছরে সরকার সময়মত হস্তক্ষেপ করায় এই সেক্টরটি অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে। ভারতের অর্থমন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সরকারের কোনও আর্থিক সহায়তা ছাড়াই ১০৯.৮ টন চিনি রপ্তানি করা হয়েছে।