Sultanpuri Accident: স্বাতী মালিওয়াল নিধির বক্তব্যে প্রশ্ন করেছেন, "যে তাঁর বান্ধবীকে বিপদে ফেলে চলে যেতে পারেন, তাঁকে বিশ্বাস করা যায় কি?"
Kanjhawala_horror
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে ২০ বছরের তরুণী অঞ্জলি সিং-এর মৃত্যুর ঘটনায় শিউরে উঠেছে দিল্লি সহ গোটা দেশ। সেদিন রাতে অঞ্জলির স্কুটিতে ধাক্কা মেরে প্রায় ১২ কিমি পথ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রাতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আর এবার অঞ্জলির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর বান্ধবী নিধি। আর এতেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, সেদিন রাতে অঞ্জলির সঙ্গে স্কুটিতে নিধিও ছিলেন সেখানে। কিন্তু তিনি ভয়ে, আতঙ্কে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, সেদিন রাতে অঞ্জলি নেশা করেও ছিলেন। আর নিধির এই সব দাবিতে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, নিধির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে। কারণ তিনি সেদিন তাঁর বন্ধুকে না বাঁচিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
आज जब पुलिस ने अंजलि की “दोस्त” को पकड़ा तो वो TV पे आके अंजलि के बारे में ऊल जलूल बकवास कर रही है। जो लड़की अपनी दोस्त को सड़क पर मरता देख उसकी मदद करने की जगह घर जाकर सो गयी, उसपे कैसे विश्वास किया जा सकता है?
— Swati Maliwal (@SwatiJaiHind) January 3, 2023
अंजलि का “Character Assassination” शुरू हो चुका है, जनता समझदार है।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! তরুণীকে ধাক্কা মেরে ১২ কিমি পথ ‘টেনে হিঁচড়ে’ নিয়ে গেল গাড়ি! তারপর...
১) বর্ষবরণের রাতে এই দুর্ঘটনার পর প্রথমে মনে করা হয়েছিল, অঞ্জলি সিং একাই স্কুটিতে ছিলেন। কিন্তু পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, স্কুটিতে অঞ্জলির সঙ্গে আরও এক তরুণী ছিলেন। পরে জানা যায়, তিনি অঞ্জলি সিং-এরই বান্ধবী নিধি।
২) নিধি গতকাল দাবি করেছেন, বর্ষবরণের রাতে অঞ্জলি নেশা করেছিলেন ও অঞ্জলি স্কুটি চালানোর জন্য জোর করেছিলেন, তাই নিধি স্কুটির পিছনে বসতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমনকী নিধিকে হুমকিও দিয়েছিলেন যে স্কুটি চালাতে না দিলে অঞ্জলি গাড়ি থেকে লাফ দেবেন। আর স্কুটি চালানো নিয়েই তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল।
৩) এছাড়াও অঞ্জলি ও তাঁর বন্ধু নিধি যে হোটেলে গিয়েছিলেন, সেখানকার ম্যানেজার জানিয়েছেন, রাত দেড়টার দিকে হোটেল থেকে বের হওয়ার আগে নিধি ও অঞ্জলি মারামারি করছিলেন। ম্যানেজার বলেন, "তারা দুজনেই ঝগড়া করছিলেন। আমি যখন তাঁদের মারামারি করতে না বলেছিলাম, তখন তাঁরা নীচে নেমে মারামারি শুরু করেন, তারপর তাঁরা দুজনেই একটি স্কুটারে চলে যায়।”
৪) আবার জানা গিয়েছে, তাঁরা হোটলে কিছু ছেলেদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। যাদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
৫) অভিযুক্তরা আগে জানিয়েছিলেন যে, তাদের গাড়িতে যে অঞ্জলি আটকে ছিলেন তা জানতে পারেনি তারা। কিন্তু নিধি দাবি করেছেন, ওরা সব জেনে বুঝে এই অপরাধ করেছে। অঞ্জলি চিৎকার করছিলেন। তা সত্ত্বেও ওরা গাড়ি থামায়নি। ভয় পেয়ে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়েই ওখান থেকে চলে আসেন।
৬) নিধি জানিয়েছেন, সেদিন গাড়িতে উপস্থিত ৫ জনও নেশা করেছিলেন। এর পর অঞ্জলিকে স্কুটি চালাতে দেওয়ার পরেই অভিযুক্তরা তাঁদের স্কুটিতে ধাক্কা দেয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, অঞ্জলির এই বান্ধবীর বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল নিধি ও হোটেল ম্যানেজারের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে জানিয়েছেন, যে তাঁর বান্ধবীকে বিপদে ফেলে চলে যেতে পারেন, তাঁকে বিশ্বাস করা যায় কি? তিনি আরও বলেন, “মেয়েরা যদি নেশা করে মারামারি করত তাহলে পুলিশ ডাকত, রাতে হোটেল থেকে বের করা হল কেন? নেশার প্রমাণ কি? STOP VICTIM SHAMING!”