Quota Ruling: এসসি-এসটির মধ্যেও শ্রেণি বিভাজনে সায় সুপ্রিম কোর্টের...
ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেউ যদি একবার একটা কমার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন, তাহলে অন্যরা যাতে সেখানে ঢুকতে না পারেন অনবরত তার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি।” কথাগুলি বললেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি বিআর গাভাই। সংরক্ষণের (Quota Ruling) ক্ষেত্রে এসসি-এসটির মধ্যে আরও নিখুঁত শ্রেণি বিভাজনের পক্ষে রায় দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন গাভাই।
কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)
বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালতের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সম্মতি দেয় শিক্ষা ও চাকরিতে সংক্ষণের ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনে। যাঁরা আক্ষরিক অর্থে পিছিয়ে পড়া, শিক্ষা ও চাকরিতে তাঁরা যাতে সুযোগ পান, তাই এই রায় বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এও জানিয়েছে, তফশিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে ‘ক্রিমি লেয়ার’ বা উপশ্রেণিকে সংক্ষরণের আওতায় আনার ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে।
এই রায় দিতে গিয়েই বিচারপতি গাভাই বলেন, “কেউ যদি একবার একটা কমার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন, তাহলে অন্যরা যাতে সেখানে ঢুকতে না পারেন অনবরত তার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। সামাজিক ন্যায়ের কারণে তাঁরা নিজেরা সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু যখন রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রতিনিধিত্বহীন ব্যক্তিদের সেই সুবিধা দেওয়া হবে, তখন আর তা অস্বীকার করা যায় না।”
প্রসঙ্গত, বিচারপতি (Supreme Court) গাভাই স্বয়ং দলিত সম্প্রদায়ের। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর তিনিই বসবেন ওই পদে। আগামী বছর প্রধান বিচারপতি পদে অভিষিক্ত হবেন তিনি। গাভাই ওই পদে বসলে, তিনিই হবেন দেশের দ্বিতীয় দলিত প্রধান বিচারপতি, কেজি বালকৃষ্ণণের পরে। এদিনের রায়ে গাভাই জানান, তফশিলি জাতি ও উপজাতির মধ্যে একটা ছোট্ট অংশই সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। বাকিরা বঞ্চনার শিকার হন। এপ্রসঙ্গে গাভাই বলেন, “বিআর আম্বেডকর বলেছিলেন, সামাজিক গণতন্ত্র না থাকলে, রাজনৈতিক গণতন্ত্র থেকে কোনও লাভ নেই। তফশিলি জাতির প্রতিটি শ্রেণির প্রতিবন্ধকতা আলাদা।”
আরও পড়ুন: জাত বিতর্কে অখিলেশকে পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ, কঙ্গনার
সাত সদস্যের এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “অনেক সময়ই বৈষম্যের কারণে তফশিলি জাতি-উপজাতির সদস্যরা উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেন না। ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে জাতির এই শ্রেণিবিন্যাসের অনুমতি দেওয়া (Quota Ruling) হয়েছে। ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি কখনওই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না (Supreme Court)।” সাত সদস্যের বেঞ্চের বাকি সদস্যরাও এসসি-এসটি সংরক্ষণের মধ্যে ‘ক্রিমি লেয়ার’ পৃথকীকরণের ওপর সহমত পোষণ করেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।