যদি কোনও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী সঠিকভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করতে চান, তাহলে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা ভাল
সুপ্রিম কোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালে জারি করা হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি (Privacy policy) মানতে বাধ্য নয় ভারতের ব্যবহারকারীরা (Indian Users)। এই নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপকে (WhatsAPP) প্রচার চালানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
ভারতের (India) সর্বোচ্চ আদালত তবে একথাও জানিয়ে দিয়েছে, যাঁরা এই বিষয়টি গ্রহণ করেছে তাদের ক্ষেত্রে ডাটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill) যতক্ষণ না লাঘু হচ্ছে ততক্ষণ হোয়াটসঅ্যাপ ঠিকঠাক ভাবেই কাজ করবে। বুধবার এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ (Constitution Bench)। এর ফলে ভারতে বসবাসকারী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা যাঁরা লেটেস্ট প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করেননি তাদেরও এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে কোনও অসুবিধা হবে না। এই অর্ডারটি পাশ করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম যোশেফ, অজয় রাস্তোগি, অনিরুদ্ধ বোস, ঋষিকেশ রায় ও সিটি রবিকুমারের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, যাঁরা ২০২১ সালে জারি করা হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসির শর্তাবলী মানতে চাননি তাঁরা উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭-এর টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে এমন কাজ, রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি
বেশীরভাগ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। খুব কম সংখ্যক মানুষের এই দুটির মধ্যে যে কোনও একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যাঁদের একইসঙ্গে দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরা কোন অ্যাকউন্টটি রাখতে চান সেব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করা উচিত। অন্তত গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে একটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা কাম্য। এব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে তাদের অবস্থান জানিয়েছে ফেসবুক। যদি কোনও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী সঠিকভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করতে চান, তাহলে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা ভাল। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় আইনজীবী কপিল সিবাল বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের কিছু ডেটা ফেসবুকের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা যদি সম্পূর্ণ গোপনীয়তা চান, তাহলে তাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না রাখাই উচিত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।