মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) খারিজ হয়ে গেল বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) আর্জি। সাজার মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দেওয়া হয় বিলকিসের ধর্ষকদের। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিলকিস। তাঁর তরফে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিলকিসের আইনজীবী শোভার দাবি ছিল, ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুতর অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। আজ, শনিবার বিলকিস বানোর সেই আর্জি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।
বিলকিস ধর্ষণ মামলা...
১৫ অগাস্ট বিলকিস ধর্ষণ মামলায় ১১ জন সাজাপ্রাপ্তকে ছেড়ে দেয় গুজরাট সরকার। যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই ১৫ বছরেরও বেশি সময় জেলে ছিল। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন দেশের বিরোধী দলগুলির নেতারা। এরই মধ্যে দেশের শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন বিলকিস। আর্জিতে তাঁর দাবি, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ওই ১১ জন ধর্ষককে ছেড়ে দিয়েছে গুজরাট সরকার। যা সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাটে (Gujarat) শুরু হয় হিংসা। ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড়ে ভয়াবহ হামলা হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে (Bilkis Bano) গণধর্ষণ করা হয়। আছড়ে মেরে ফেলা হয় তাঁর তিন বছরের মেয়েকে। তাঁর পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে বিরল থেকে বিরলতম আখ্যা দিয়ে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল সিবিআই (CBI)। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। মুক্তি দেওয়া হয় ১১ জনকে।
বিলকিসের (Bilkis Bano) পিটিশনে বলা হয়েছে, দেশ যখন ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছিল, তখন সব সাজাপ্রাপ্তকে আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে তাদের মালা পরানো হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল সংবর্ধনা। মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল। তা থেকেই বর্তমান মামলাকারী (বিলকিস), পুরো দেশ ও দুনিয়া জানতে পারে যে দেশের অন্যতম জঘণ্য অপরাধে দণ্ডিতদের আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যে ঘটনায় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছিল।
+ There are no comments
Add yours