Ballot Paper: ‘‘ভোটে হারলেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ ওঠে, জিতলে নয় কেন?’’ প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের...
ব্যালট নয়, ভোট হবে ইভিএমেই। প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে হারলেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। জিতলে নয় কেন? মঙ্গলবার এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমনই প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি পিবি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চ (Supreme Court)। ব্যালট পেপারে (Ballot Paper) ভোট করানোর আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ।
কোনও নির্বাচনে হারলেই বিরোধীরা ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবিতে সরব হন। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবিতে সুর চড়িয়েছেন। ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন কোনও কোনও রাজনৈতিক দল। তার পরেও অবশ্য ব্যালট ফেরেনি। ভোট হচ্ছে ইভিএমেই। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইভিএমে ভোট করানো নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা অসত্য। এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ব্যালট ফেরানোর দাবি জানালেন জনৈক কেএ পাল।
২৬ নভেম্বর শুনানি হয় এই মামলার। শুনানিতে আবেদনকারী বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষা করতে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনা উচিত।” সওয়ালের সময় তিনি ইলন মাস্কের প্রসঙ্গও টানেন। বলেন, “মাস্ক বলেছেন ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব। চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জগন্মোহন রেড্ডির মতো নেতারাও জানিয়েছেন ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখনও ব্যালটেই ভোট হয়।”
আবেদনকারীর দাবি (Supreme Court), দেশের ১৮টি রাজনৈতিক দল ব্যালটে ভোট করানোর পক্ষপাতী। আবেদনকারী বলেন, “বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে ১৮০টি দেশই এখনও ব্যালট পেপারে ভোট করে। আমাদের দেশেও সেই প্রথা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! ভারতীয় নাগরিকত্ব খারিজের দাবি, তদন্তে সিবিআই
এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি বিক্রম নাথ বলেন, “যখন চন্দ্রবাবু নাইডু বা জগন্মোহন রেড্ডিরা ভোটে হেরে যান, তখনই তাঁরা ইভিএমে কারচুপির কথা বলেন। কিন্তু ভোটে জিতলে এ ব্যাপারে কোনও কথাই বলেন না। তখন আর তাঁদের ইভিএমে কোনও ত্রুটি চোখে পড়ে না।” শুনানি শেষে আবেদনকারীর পিটিশন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। খারিজ করে দেয় ব্যালট পেপারে (Ballot Paper) ভোট করানোর আর্জিও (Supreme Court)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।