২জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরিবর্তন চাইল কেন্দ্র, কেন জানেন?...
সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুগ আগে দেওয়া হয়েছিল রায়। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ে কিছু পরিবর্তন চেয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পর সুপ্রিম কোর্টে মামলার পক্ষ হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। ১২ বছর আগে এই স্বামীই ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনের পদ্ধতির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
২০১২ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। টেলিকম মন্ত্রী ছিলেন ডি রাজা। সেই সময় এক রায়ে টেলিকম সংস্থাগুলিকে বণ্টন করা সমস্ত ২জি স্পেকট্রাম খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, স্পেকট্রামের মতো জাতীয় সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দামের নীতি নেওয়া চলবে না। বেতারতরঙ্গ নিলাম করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। শীর্ষ আদালতের এই রায়েই কিছু পরিবর্তন চেয়ে আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র।
কেন রায়ে কিছু পরিবর্তন চাইছে মোদি সরকার? শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘সুপ্রিম রায়ে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন কারণ স্পেকট্রামের অ্যাসাইনমেন্ট কেবল বাণিজ্যিক টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসের জন্য প্রয়োজন তা নয়, বাণিজ্যিক নয় এমন ক্ষেত্রেও প্রয়োজন। নিরাপত্তা, সুরক্ষার মতো জনস্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে।’ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রায়ে কিছু পরিবর্তন চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, তার সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষা, নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি জড়িত রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, মহামান্য আদালতের কাছে এজন্য (এই রায়) অনুরোধ, এই পরিস্থিতিতে রায়ে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। সরকার এবং জনস্বার্থেই এটা করা প্রয়োজন। প্রযুক্তি কিংবা অর্থনৈতিক কারণে নিলামকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুুন: আগামী বছরেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত, বলছে আইএমএফ
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে ২জি-র লাইসেন্স বিলি শুরু হয়। পরের বছরই ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০১০ সালে ক্যাগের রিপোর্ট সামনে আসার পর লাইসেন্স বিলিতে যে গোলমাল হয়েছে, তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ২০১১ সালে রাজাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজার জমানায় দেওয়া ১২২টি ২জি স্পেকট্রাম লাইসেন্স বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।