প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির করা দু-পর্বের একটি তথ্যচিত্রকে...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) ভারত বিরোধী শক্তি (Anti India Forces) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে আরএসএস (RSS)-পন্থী সাপ্তাহিক পত্রিকা 'পাঞ্চজন্য'য়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির করা দু-পর্বের একটি তথ্যচিত্রকে ঘিরে নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তার জেরে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। তার পরেও বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্ন লিঙ্কের মাধ্যমে ওই ছবির স্ক্রিনিং করায়। সেই সব লিঙ্ক মুছে ফেলতে বারংবার আবেদন করা হয়। এ নিয়ে কেন্দ্রকেও নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়েই সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে পাঞ্চজন্যয়।
বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে কেন্দ্রকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের উল্লেখ করে ওই পত্রিকায় লেখা হয়েছে, দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে বলেই সুপ্রিম কোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু একে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত বিরোধী শক্তি। তাদের পথ পরিষ্কার করতেই এসব করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র অসত্য ও কাল্পনিক এবং তা ভারতকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাঞ্চজন্যর। হিন্দি ভাষার ওই পত্রিকাটিতে এও বলা হয়েছে, ভারতীয়দের করদাতাদের টাকায় চলে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে ভারতীয় আইন অনুযায়ী। কিন্তু ভারত বিরোধীদের পথ পরিষ্কার করার চেষ্টায় এটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুুন: ‘‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে’, বললেন ধনখড়
মানবাধিকারের নামে সন্ত্রাসবাদীদের সুরক্ষা প্রদান ও পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে ভারতের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাঞ্চজন্য। পত্রিকাটিতে এও লেখা হয়েছে, ভারতের গণতন্ত্র, উদারতাবাদ ও সভ্যতার মানদণ্ড ব্যবহার করছে...। এমন হতে পারে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে দেশকে দুর্বল করার অধিকার আসবে। গত সপ্তাহেই দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court) বিবিসির ওই তথ্যচিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের বক্তব্য, এই আবেদনের কোনও মেরিট নেই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া: দি মোদি কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক দু পর্বের একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে বিবিসি। ওই তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা নিয়ে ‘বিকৃত’ তথ্য তুলে ধরা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বলে কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতকে খাটো করতেই মিথ্যা ও অবমাননামূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: