Alimony Amount: বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় ভরণপোষণ দেওয়ার সময় খতিয়ে দেখতে হবে যে বিষয়গুলি...জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় বড় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়র অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় (Bengaluru Techie Suicide) তোলপাড় দেশ। এই আবহেই এবার বিবাহ বিচ্ছেদর পর খোরপোশ (Alimony Amount) বাবদ কত টাকা পাওয়া উচিত, সে বিষয়ে আট দফা গাইড লাইন দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
আত্মহত্যার আগে ২৪ পাতার সুইসাইড নোটে অতুল অভিযোগ করে যান যে, টাকা হাতানোর জন্য একাধিক মিথ্যে মামলা করেছিল তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিচার ব্যবস্থাকেও দুষেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে (Bengaluru Techie Suicide) তাঁর রেকর্ড করা শেষ ভিডিওতে নিজের মানসিক নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। তরুণের পরিবারের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই ঘটনার আবহে, বুধবারই শীর্ষ আদালত (Supreme Court) মহিলাদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা সংক্রান্ত আইনের ৪৯৮(এ) ধারার অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে।
সেই ঘটনার রেশ মেলানোর আগেই নয়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় ভরণপোষণের (Alimony Amount) নির্দেশ দেওয়ার সময় সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন নেওয়ার জন্য বাবার দায়িত্বের ওপরও বেশি জোর দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত অন্যান্য সমস্ত আদালতকে এই নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।
ক্ষতিপূরণের আর্থিক পরিমাণ কী হবে, তা নির্ধারণ করার জন্য কতগুলি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও, একটি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার রায়ে স্ত্রীকে এককালীন ভরণপোষণের জন্য ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি এই নির্দেশ দেওয়ার সময় বিবাহবিচ্ছিন্ন দম্পতির বড় ছেলের ভরণপোষণ ও আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলেছে।
আদালতে শুনানি হচ্ছিল প্রবীণ কুমার জৈন ও অঞ্জু জৈন নামে এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার। এই মামলায় বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি প্রসন্ন ভি বরালের ডিভিশন বেঞ্চ আটটি ফ্যাক্টর বিবেচনার নির্দেশ দেয়। এগুলি হল, বাদী ও বিবাদী দুপক্ষের সমাজিক ও আর্থিক অবস্থা, স্ত্রী ও নির্ভরশীল সন্তানদের যুক্তিসঙ্গত চাহিদা। বাদী ও বিবাদীর স্বতন্ত্র যোগ্যতা, কর্মসংস্থানের অবস্থা (Supreme Court)। দুজনের আয়, আবেদনকারীর মালিকানাধীন সম্পত্তি ও সম্পদ, বিয়ের পর স্ত্রী যে জীবন কাটিয়েছে, তার মান। পারিবারিক দায়িত্বের জন্য যে কোনও কর্মসংস্থান ছেড়ে আসা। স্ত্রীর মামলা চালানোর খরচ এবং স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য, তাঁর আয়, ভরণপোষণের বাধ্যবাধকতা ও দায়।
আরও পড়ুন: এনআরসির আবেদন না করলে, বাতিল হবে আধার কার্ডের আবেদন, বড় সিদ্ধান্ত হিমন্তর
বিচ্ছেদ মামলার রায় ঘোষণার সময় বেঞ্চ জোর দিয়ে বলেছে, এই দম্পতি বিয়ের পর ছ’বছর একসঙ্গে বসবাস করেছিলেন। পরবর্তী ২০ বছর আলাদা জীবনযাপন করেছেন। তাঁদের বিবাহে অসামঞ্জস্যতা ও তিক্ত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। প্রবীণের অভিযোগ, অঞ্জু অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং তাঁর পরিবারকে উপেক্ষা করতেন। অঞ্জুর অভিযোগ, প্রবীণের আচরণ তাঁর প্রতি ভালো ছিল না। এত দীর্ঘ সময় আলাদা থাকায় এই দম্পতি তাঁদের বৈবাহিক দায়িত্ব (Alimony Amount) পালনের কোনও সুযোগ পাননি (Supreme Court)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।