২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
সুপ্রিম কোর্ট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recuitment Scam) মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। দুর্নীতি মামলাটি গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট। ফেরত পাঠানো হল হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানাল, যা বলার হাইকোর্টে বলুন, এখানে কেন?
২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির (Recuitment Scam) অভিযোগ ওঠে। টাকার নিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সুপ্রিমকোর্টে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, "৮ বছর পর জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এই মামলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাই এই মামলা খারিজে দেশের শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করুক চায় রাজ্য।"
কিন্তু রাজ্যের আবেদন উড়িয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Recuitment Scam)। রাজ্যকে পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি বলেন, "যা বলার হাইকোর্টে বলুন।" বিচারপতি এস এস কৌল ও এ এস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ফের ৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে সিবিআই
হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় (Recuitment Scam) অভিযোগ করা হয়, ২০১৪-র টেট দুর্নীতি মামলায় কমপক্ষে ৪২,৮৯৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে নিয়োগপত্র পাননি বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বহু নিয়োগ করা হয়েছে। তার ফলে বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। এই কারণেই জনস্বার্থ মামলা করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে (Recuitment Scam) মামলা করে রাজ্য। ২০১৪ সালের ঘটনায় ২০২২-এ জনস্বার্থ মামলার কোনও গুরুত্ব নেই বলে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করে রাজ্য। তবে দেরিতে করা এই মামলা খারিজ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। পুনরায় হাইকোর্টে মামলা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে যে চাপ বেড়েছে রাজ্যের, তা বলাই বাহুল্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।