Arvind Kejriwal: খারিজ আপ সুপ্রিমোর আর্জি, কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?...
সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কি ফিরে যেতে হবে জেলের অন্ধকার কুঠুরিতেই? আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ কেজরিওয়ালের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন শুনতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করার বিষয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই তাঁর আবেদন শুনতে নারাজ দেশের শীর্ষ আদালত।
বুধবারই মামলাটি তালিকাভুক্ত করতে অস্বীকার করেছেন আদালতের রেজিস্ট্রার। প্রসঙ্গত, পয়লা জুন দেশে রয়েছে সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এদিনই শেষ হচ্ছে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ। তাই পরের দিনই তাঁকে ফিরতে হবে তিহাড় জেলে (Supreme Court)। ১০ মে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সময়ই ২ জুন আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।
কী কারণে জামিনের আবেদন করেছিলেন, ভাটিন্ডার এক জনসভায় তাও জানিয়েছিলেন আপ সুপ্রিমো। বলেন, “আমার অনেকটা ওজন কমে গিয়েছে। এটা গুরুতর অসুস্থতার উপসর্গ। একাধিক মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই চেকআপ করাতেই আমি দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে সাতদিন অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছি।” মামলাটি দ্রুত শুনানির আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেই আর্জি খারিজ করে দেয় বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই আবেদনটি তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতিই। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সাফ জানিয়ে দেন, এই মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হবে না।
আর পড়ুন: "তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না," বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির
দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় কেজরিওয়ালকে। যেহেতু ইডিই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল, তাই সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইডি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হল, সে প্রশ্নও তোলে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯ এপ্রিল দেশে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারের জন্য জেলের বাইরে আসতে চেয়ে কেজরিওয়াল আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। জামিন পান ১০ মে (Supreme Court)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।