গতকাল বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে মামলার শুনানিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে।।
Supreme Court
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে এবারে সরাসরি জানানো হল যে, স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিতে হবে স্বামীকে। প্রায়ই এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে যে, বিবাহ-বিচ্ছেদের পরে স্বামী, তাঁর স্ত্রী-সন্তানের দায়িত্ব নিতে চান না ও আর এই ঘটনা ঘিরেই একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়। এবার একটি মামলার শুনানিতে রায় জানানোর সময় এই ঘোষণা করা হল যে, শারীরিক পরিশ্রম করেও হোক, কিন্তু স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণের সব দায়িত্ব স্বামীকেই নিতে হবে। কারণ এটি তাঁর কর্তব্য ও দায়িত্ব।
এদিন শীর্ষ আদালত (Supreme Court) থেকে জানানো হয়েছিল যে, যেসব মহিলারা তাঁর স্বামীর বাড়িতে অত্যাচারিত হয়ে বাড়ি ছেড়েছেন, ফলে তাঁদের আর্থিক সাহায্য ও তাঁদের সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য যাতে কোনও ব্যবস্থা করা যায়, বিশেষভাবে নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্যই সিআরপিসি-এর ১২৫ ধারাটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট
যাদের মামলা নিয়ে গতকাল রায় দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ১৯৯১ সালে ৭ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের একটি মেয়ে ও একটি ছেলে আছে। মহিলাটি অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁর ওপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার পরেই তিনি তাঁর স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বাবার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা পণের দাবিও করা হয়েছিল। এমনকি তাঁর চরিত্রের ওপর প্রশ্ন তুলেছিলেন ও তাঁদের ছেলেকেও তাঁর স্বামী নিজের সন্তান বলে মেনে নিতে রাজি হননি। এর পাশাপাশি তাঁর ছেলের ডিএনএ টেস্ট করার কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে তাঁর স্বামী এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁর এখন কাজ নেই ও তাই তাঁর স্ত্রী তাঁদের সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
এরপর গতকাল বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে এই মামলার রায় দেওয়ার সময় এই দায়িত্বহীন স্বামীকে নির্দেশ দেন যে, তাঁদের ছেলের জন্য প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা ও তাঁর পরিবারের জন্য ১০০০০ টাকা দিতে হবে। আরও বলা হয় যে, "স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা স্বামীর কর্তব্য। স্বামীকে শারীরিক শ্রম দিয়েও অর্থ উপার্জন করতে হবে, যদি সে সক্ষম হয়, এবং আইনগতভাবে তিনি এই বাধ্যবাধকতাকে এড়াতে পারে না।“