সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত...
সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-তে (CAA) স্থগিতাদেশ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন হলফনামার আকারে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, সিএএ-র বিরোধিতা করে একাধিক মামলা দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। সেগুলিকে এক করে মঙ্গলবারই সিএএ নিয়ে শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট (CAA)। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলাগুলি শোনে। প্রধান বিচারপতি ছাড়া ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা হাজির ছিলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী হয়ে। সলিসিটর জেনারেল এদিন আদালতে বলেন, “সিএএ-তে কারও নাগরিকত্ব যাবে না।”
সিএএ (CAA) নিয়ে একাধিক মামলার মধ্যে সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করে কেরলের বাম সরকার। রবিবার সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যায় তারা। সেসময় কেরল সরকার ঘোষণা করেছিল, রাজ্যে সিএএ কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে এর আগে, শনিবার সিএএ-তে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের নেতা তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের ঘুষকাণ্ডে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএমের যুব সংগঠনও এই ইস্যুতে দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, মোট ২৩৭টি আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে ২০টি ক্ষেত্রেই সিএএ-র ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত সিএএ-র ওপর স্থগিতাদেশ দিলনা এদিন।
২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ (CAA) পাশ করে মোদি সরকার। কিন্তু মাঝখানে করোনা মহামারী চলে আসায়, আইন তখন কার্যকর করা যায় নি। চারবছর পরে ২০২৪ সালের ১১ মার্চ সিএএ লাগু করে সরকার। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত। এই ৬ সম্প্রদায় হল, হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।