img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Supreme Court on PMLA: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

এধরনের কার্যকলাপ সন্ত্রাসবাদ, এনডিপিএস আইন ইত্যাদির মতো অন্যান্য জঘন্য অপরাধকেও প্রচার করে...

img

সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি

  2022-07-27 15:14:27

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার, তল্লাশি বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও জামিন সহ যাবতীয় আইনি সংস্থানকে যথাযথ উল্লেখ করে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। পিএমএলএ ( PMLA: আইনের আওতায় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। বুধবার বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে খারিজ হয়ে যায় তার সিংহভাগই। এই রায়ে বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে বড় জয় পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। 

মামলাকারীদের দাবি ছিল, এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট বা সংক্ষেপে ইসিআইআর হল অনেকটা এফাআইআর-এর মতো। ফলে, আটক হওয়া ব্যক্তিকে তার কপি দেওয়া উচিত। এদিন সেই যুক্তি খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রতি ক্ষেত্র বা ব্যক্তিকে ইসিআইআর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কারণ, এটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট। আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডি আধিকারিকরা কাউকে গ্রেফতার করলে সেই সময় গ্রেফতারির ভিত্তি দেখালেই তা যথেষ্ট। আবেদনকারীদের যুক্তি ছিল, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতারির কারণনা জানিয়ে অথবা প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার করা অসাংবিধানিক। এটাও খারিজ হয়ে যায় ওই বেঞ্চে। 

আরও পড়ুন : ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

মামলাকারীদের দাবি ছিল, এই আইনে জামিনের শর্তগুলি কঠোর, বেআইনি এবং যুক্তি মানে না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই আইনের জামিনের যে কঠোর শর্তগুলো রয়েছে তা যথাযথ। শর্তগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট আইন অনুসরণ করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত এদিন তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপ শুধুমাত্র যে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে প্রভাবিত করে তাই নয়। এধরনের কার্যকলাপ উল্টে সন্ত্রাসবাদ, এনডিপিএস আইন (দি নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট) ইত্যাদির মতো অন্যান্য জঘন্য অপরাধকেও প্রচার করে। এটা সন্ত্রাসবাদের চেয়ে কম বিপজ্জনক নয়।

মামলাকারীদের আরেকটি দাবিও এদিন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ ছিল, ২০০২ সালে প্রথম কার্যকর হয় পিএমএলএ আইন। অথচ, তার আগে দায়ের হওয়া মামলাগুলোও এই আইনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা অসাংবিধানিক। জবাবে কেন্দ্রের কৌঁসুলি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে এটিকে ন্যায়সঙ্গত বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,  অর্থ পাচার একটি ক্রমাগত ঘটে চলা অপরাধ। এটি কোনও একক বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, বরং একটি চেইন। হতে পারে অপরাধের সূত্রপাত ২০০২ সালের আগে হতে পারে। কিন্তু, তা ২০০২-এর পরেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন : 'অযৌক্তিক' নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট

প্রায় আড়াইশোর মতো আবেদনপত্র জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন অনিল দেশমুখ, কার্তি চিদম্বরম এবং মেহবুবা মুফতিও। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আর কাউকে গ্রেফতার করতে বাধা রইল না ইডির সামনে।  প্রসঙ্গত, পিএমএলএ আইনটি তৈরি হয়েছিল ২০০২ সালে। যদিও কার্যকর হয় ২০০৫ সালের ১ জুলাই।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্থিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। তার আগে ন’ বছরে ১১২টি তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত আট বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১০টিতে। গত ৮ বছরে, ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অ্যাটাচ করা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি।

Tags:

Supreme court

ED

money laundering act

 Supreme Court on PMLA

PMLA


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর