Taj Mahal: কী আছে তাজমহলের বন্ধ ঘরগুলিতে? ছবি প্রকাশ করল এএসআই 

ASI: এএসআই-এর দাবি, এই মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছিল ২০২১-এর ডিসেম্বরে এবং শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে
Tajmahal
Tajmahal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহল নিয়ে গোটা বিশ্বের কৌতূহলের শেষ নেই। তাহমহলের খানিকটা অংশ জনসাধারণের দর্শনের জন্যে খোলা থাকলেও, বেশ খানিকটা অংশ এখনও রয়েছে সাধারণের চোখের আড়ালে। শোনা যায়, তাজমহলের (Taj Mahal) ২২টি ঘর নাকি আজও তালাবন্ধ। কী আছে দরজার (Closed Rooms) ওপারে? এনিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বার বার সেই ঘরগুলি খোলার দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি। সম্প্রতি ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাজমহলের বন্ধ ঘরের বিতর্ক। এলাহাবাদ হাইকোর্টে ওই বন্ধ ঘর খোলার দাবিতে পিটিশনও দেন এক বিজেপি নেতা। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। 

এবার তাজমহলের মধ্যে থাকা কয়েকটি বন্ধ ঘরের ছবিই প্রকাশ করল খোদ আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archaeological Survey of India)। বেসমেন্টে থাকা কয়েকটি ঘরের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এএসআই-এর ওয়েবসাইটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে জায়গাগুলি ক্ষয়ে গিয়েছে, সেখানে আবার নতুন করে প্লাস্টার করা হয়েছে। মেরামতির আগে এবং পরের দুই ছবিই প্রকাশ করেছে এএসআই (ASI) কর্তৃপক্ষ। 


এএসআই-এর দাবি, এই মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছিল ২০২১-এর ডিসেম্বরে এবং শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। এক এএসআই আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে বলেন, "ছবিগুলি ২০২২ সালের জানুয়ারির নিউজলেটারের অংশ হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে কেউ ওয়েবসাইটে গিয়ে তা দেখতে পারেন।"

[tw]

[/tw]

অর্থাৎ এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দেওয়ার বেশ খানিকটা আগেই তাজমহল নিয়ে মানুষের কৌতূহল প্রশমন করার চেষ্টা করেছে ভারত সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। 

এএসআই দাবি করে, ২০০৬-০৭ সালেও ঘরগুলির মেরামত করা হয়েছিল। এএসআই-এর ওয়েবসাইটে সেই ছবিও আপলোড করা হয়। এবারও যে বন্ধ ঘরগুলি মেরামতের জন্য খোলা হয়েছিল, সেই ছবিও আপলোড করা হয়েছে ওয়েবসাইটে।   

কিছুদিন আগেই ২২টি বন্ধ ঘর খোলার দাবিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টে করা পিটিশনে বলা হয়েছিল, তাজমহলের যে ২২টি ঘর বছরের পর বছর ধরে বন্ধ রয়েছে, তা খোলা হোক এবং সেখানে কী রয়েছে, তা নিয়ে এএসআইকে তদন্ত করার অনুমতি দেওয়া হোক। যদিও আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আর তারপরেই এএসআই- এর এই ছবি প্রকাশ। এএসআই- এর তরফে বলা হয়েছে, ওই বন্ধ ঘরগুলি নিয়ে কোনও গোপনীয়তা নেই। এগুলো শুধুই কাঠামোর অংশ। 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles