Madras High Court: ডিএমকে সরকারের তীব্র সমালোচনা, বিজেপি অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত ‘ভারত মাতা’র মূর্তি ফেরাতে বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট...
বিজেপি অফিস থেকে অবৈধভাবে বাজেয়াপ্ত করা 'ভারত মাতা'র মূর্তি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি বিজেপি অফিস থেকে অবৈধভাবে বাজেয়াপ্ত করা 'ভারত মাতা'র মূর্তি ফেরত দেওয়ার জন্য তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। আদালত (Madras High Court) ডিএমকে-নেতৃত্বাধীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে যে, এই মূর্তির অপসারণ সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। এমন কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর ঘটতে দেওয়া উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অগাস্টের রাতে, আরুপুরকোত্তাই রেভেনিউ ডিভিশনাল অফিসার (RDO) শিবকুমার এবং তহসিলদার বাস্করান বিজেপি অফিসে ঢুকে মূর্তি অপসারণ করেন। তাঁদের দাবি, যে মূর্তিটি অনুমতি ছাড়া বসানো হয়েছিল। এই দলের সদস্যরা পুলিশি সহায়তায় অফিসের গেট খুলে মূর্তি অপসারণে উদ্যোগী হন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, এক পুলিশ অফিসার বিজেপি অফিসের দেওয়াল টপকে গেট খোলার চেষ্টা করছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি অন্নামালাই এই ঘটনাকে "অগ্রহণযোগ্য" বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, "তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) ডিএমকে সরকার এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত যে, এখন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতেও 'ভারত মাতা'র মূর্তি স্থাপন করার অধিকার নেই।"
— Raama Sreenivasan (@ProfessorBJP) November 13, 2024
মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) বিচারক নানদু আনন্দ ভেঙ্কটেশ এই বিষয়ে বলেন, "সরকারি অনুমোদন ছাড়া প্রতিকৃতির স্থাপন যদি জনগণের জায়গায় হয়, তবে নিয়ন্ত্রণ যথাযথ। কিন্তু বেসরকারি জায়গায় এরকম কোনও নিয়ন্ত্রণ অকারণ। ব্যক্তিগত জায়গায় এমন মূর্তি স্থাপন কোনওভাবেই রাষ্ট্রের অধিকারকে লঙ্ঘন করে না।" এছাড়া, আদালত জানায় যে, ভারত মাতার মূর্তি স্থাপন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত এবং সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির বিষয়, এটা মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক। এই মূর্তি মানুষকে একত্রিত হতে এবং স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে সাহায্য করে। এই রায়ে আদালত বিজেপির অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে মূর্তিটি তাদের অফিসে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে সতর্ক করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।