একই নিয়ম প্রযোজ্য সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সরদের ক্ষেত্রেও... ১ জুলাই থেকে এই নতুন নিয়ম লাগু হতে চলেছে...
টিডিএস
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ জুলাই থেকে টিডিএসের (TDS) নতুন নিয়ম লাগু হতে চলেছে। আয়কর আইনে (Income Tax Act) যোগ হয়েছে ‘194R’ ধারা। কর আদায়ের পরিধি বাড়াতে চলতি অর্থবর্ষে নতুন নিয়ম এনেছে কেন্দ্র। এবার থেকে ব্যবসায়িক কারণে পাওয়া বিনামূল্যের উপহারের ওপর দিতে হবে টিডিএস। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর (Social Media Influencers) এবং চিকিৎসকদের (Doctors) কোনও সংস্থার প্রচারের জন্যে পাওয়া 'ফ্রি স্যাম্পেলে' কর গুনতে হবে। করের হার বাকিদের মতোই থাকবে ১০%।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন না? বেশি কর দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত হন
বর্তমানে কোনও পণ্য বা পরিষেবা বাজারে আসার আগেই সামাজিক মাধ্যমে তার প্রচার চালায় সংস্থাগুলি। ‘কোলাবরেশন’ করে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সরদের সঙ্গে। এছাড়া চিকিৎসকদেরও বিনামূল্যে ওষুধ বা উপহার পাঠায় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। ইনফ্লুয়েন্সররা বা চিকিৎসকরা বিনামূল্যে পান ওই পণ্য। এতদিন পর্যন্ত এ ধরনের পণ্য বা পরিষেবার জন্য কোনওরকম কর দিতে হত না। কিন্তু আগামী ১ জুলাই থেকে বদলে যাচ্ছে নিয়ম।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের (Ministry of Finance) তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে বিনামূল্যে পাওয়া জিনিস বা উপহারের উপর টিডিএস (ট্যাক্স ডিডাকক্টেড অ্যাট সোর্স) দিতে হবে। যে সব পণ্যের প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর বা চিকিৎসকদের বিনামূল্যে উপহার পাঠানো হয়, তার উপর ১০ শতাংশ টিডিএস বসানো হবে। তবে, যদি কেউ প্রোমোশনের পর ওই পণ্য সংস্থাকে ফিরিয়ে দেন, তাহলে তাঁকে কর দিতে হবে না। এই ধরনের কাজ থেকে বছরে ২০ হাজার টাকার কম সুবিধা পেলে টিডিএস লাগবে না। বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT)। যে সমস্ত পণ্যের উপর টিডিএস বসবে, তার মধ্যে রয়েছে গাড়ি, টিভি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, সোনার কয়েন, মেডিসিন স্যাম্পেল, বিদেশে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট, আইপিএল টিকিট ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলে বাড়ে বেতন এবার কর্মীদের জীবনসঙ্গীও খুঁজে দেবে সংস্থা
কিন্তু হাসপাতালে কর্মরত কোনও চিকিৎসক যদি বিনামূল্যে ওষুধের স্যাম্পেল পান, তাহলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে তার জন্যে টিডিএস দিতে হবে। তবে কোনও চিকিৎসক যদি হাসপাতালে কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত থাকেন, তাহলে টিডিএস প্রথমে হাসপাতালের নামে কাটা হবে। পরে ওই হাসপাতালে ‘১৯৪ আর’ ধারায় সংশ্লিষ্ট টিকিৎসককে কর জমা করতে বলবে। এই নিয়ম বেসরকারি হাসপাতালের জন্যে। সরকারি হাসপাতালে এই নিয়ম কার্যকর হবে না।