Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে আল কায়েদার স্লিপার সেল যুক্ত জমি কেলেঙ্কারিতে?...
ইডির দফতরে নিয়ে আসা হয়েছে এক জঙ্গিকে।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার স্লিপার সেল গ্রেফতার। ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (ATS) সূত্রে খবর, সে রাজ্যের লোহারদাগা-সহ ১৪টি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তখন ধরা পড়ে আল কায়েদা ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের স্লিপার সেল (Terrorist Module)।
ঝাড়খণ্ডে আল কায়েদার একটি বড় নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে বলে সূত্র মারফত খবর পায় সে রাজ্যের পুলিশ। একই খবর পান গোয়েন্দারাও। জঙ্গিদের গ্রেফতারে বুধবার গভীর রাতে বৈঠকে বসেন পদস্থ আধিকারিকরা। পরে রাজ্যের ১৪টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালায় ঝাড়খণ্ড পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড। গ্রেফতার করা হয় আল কায়েদার স্লিপাল সেল এবং আরও ১২জনকে। লোহারদাগার কুডু থানা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এটিএস গ্রেফতার করে আরও একজনকে। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১৪ জনকে।
জানা গিয়েছে, আল কায়েদা ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের এই মডিউল অপারেট করতেন রাঁচির বাসিন্দা ইশতিয়াক। রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশ। এই পুরো এলাকাটা ইশতিয়াকের অধীনে (Terrorist Module)। রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় সে বিস্তার করেছে এই মডিউল। রাঁচির প্রেস্টিজিয়াস মেডিক্যাল কলেজ-হাসপতালে চাকরি করতেন। ২২ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় ইশতিয়াককে। তার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করেন তাঁকে।
জানা গিয়েছে, অভিযানের সময় বিশেষ সেল রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও অন্যান্য রাজ্য থেকে সব মিলিয়ে প্রথমে আটজনকে আটক করে। তাদের জেরা করেই জানা যায় ইশতিয়াকের নাম। এই মডিউলের চাঁই পেশায় চিকিৎসক ইশতিয়াকই। এটিএসের দাবি, তিনি খিলাফত ঘোষণা করেছিলেন। দেশের ভিতরে গুরুতর জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনার পরিকল্পনাও তিনি করেছিলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় এল বিশেষ সিবিআই দল, সন্দীপ ঘোষ সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু
চিকিৎসক ইশতিয়াকের গুণপনার শেষ নেই। সন্দেহভাজন এই জঙ্গি রাঁচির জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। এই ঘটনায় বরইতু থানা এলাকার বাসিন্দা বাবলু খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল ইডির দফতরে। এটিএসের হাতে গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক ইশতিয়াক বাবলুর হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এদের দুজনের পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
ইশতিয়াক পেশায় রেডিওলজিস্ট। পড়াশোনা করেছেন রাঁচিরই আরআইএমএসে, মেডিসিন নিয়ে। তিন বছর ধরে তিনি মেডিক্যাল হাসপাতালে পূর্ণ সময় চাকরি করেছেন। ইশতিয়াক হাজারিবাগে একটা ক্লিনিকও চালান। তিনি ভারতকে ইসলামিক কান্ট্রি বানানোর চেষ্টা করছিলেন। বৃহস্পতিবার লোহারদাগার কুদুর হেনজলা কাউখাপে হানা দিয়েছিল এটিএস। আলতাফ ওরফে ইলতাফের খোঁজেই হানা দিয়েছিল এটিএস। তার বাড়ি থেকে দুটি অস্ত্র ও বেশ কিছু আপত্তিকর নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার। এর পাশাপাশি এটিএসের টিম রাঁচির ছানহো এলাকার কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায়। এটিএস আটক করেছে বালসোকারার মহম্মদ মোদাব্বির, রিজওয়ান, চাটওয়ালের মুফতি রহমতুল্লাহ মাঝিরি এবং পিপরাতলির মতিউর রহমানকে।
এটিএস দল একই সঙ্গে পাকরিও গ্রামের শাহবাজ আনসারির বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালানোর সময় আটক করা হয় মহম্মদ মোদাব্বির, মহম্মর রিজওয়ান, মুফতি এবং মতিউর রহমানকে। এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মুফতি রহমতউল্লাকে। পাকরিও এলাকায় যখন তল্লাশি চালানো হয়, তখন বাড়িতে ছিলেন না এনামূল আনসারি ও শাহবাজ। পরিবারের সদস্যরা জানান, শেহবাজের ছেলে জেয়েরাত আনসারি পরীক্ষা দিতে দিল্লিতে গিয়েছে। আর শাহবাজ এবং এনামূল আনসারি গিয়েছে তবলিঘি জামাতে।
দিল্লি পুলিশের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ওই জঙ্গি (Terrorist Module) গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেওয়া হচ্ছিল ঝাড়খণ্ড থেকে। ভারতে একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের পরিকল্পনা ছিল ওই গোষ্ঠীর। পুলিশের দাবি, রাঁচির ইশতিয়াকের হাতে নিয়ন্ত্রিত এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষিত। একাধিক জায়গায় তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তদন্তকারীরা জেনেছেন, জঙ্গি সন্দেহে ধৃতেরা প্রত্যেকেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। এদের কেউ গাড়ির নম্বর প্লেট বসানোর কাজ করত, কেউ আবার গাড়ি মেরামতির কাজ করত। আর ইশতিয়াকের আদত বাড়ি জামশেদপুরে। তিনি রেডিওলজিস্ট। মতিউর রহমান কাপড়ের দোকান চালাত। সে প্রায়ই তাহরিরের জন্য যেত। এই সময় আলতাফের সংস্পর্শে আসে লোহারদাগার অটোচালক।
ধৃতদের কাছ থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল, একটি .৩৮ বোরের রিভলভার, একটি লোহার এলবো পাইপ, একটি গ্রেনেড এবং বেশ কিছু কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়েছে (Terrorist Module)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।